মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর প্রতিনিধি
মেয়েদের জন্য একমাত্র অর্ধশত বছরের পুরোনো বিদ্যাপীঠ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরে অবস্থিত সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বেহাল দশা বিরাজ করছে। বিদ্যালয়ের ২৭ পদের মাঝে ২২ টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শুন্য রয়েছে। একজন কৃষি ডিপ্লোমাধারী শিক্ষক দীর্ঘদিন যাবৎ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছে। যে কারনে ছাত্রীরা অত্র সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি ও লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ দুটিও দীর্ঘদিন ধরে শুন্য রয়েছে। তা যেন দেখার কেউ নেই! অর্ধশত বছরের পুরোনো এ বিদ্যালটিতে বিরাজ করছে ঝরাজীর্ণতা।
১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি ১৯৮৭ সালে সরকারীকরন হয়। বর্তমানে অত্র বিদ্যালয়টিতে ৩৭০ জন ছাত্রী অধ্যয়নরত রয়েছে। নবম ও দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগে ৫/৬ জন করে ছাত্রী থাকলেও বাণিজ্য বিভাগে কোন শিক্ষক না থাকায় কোন ছাত্রীও নেই বলে বিদ্যালয় সুত্রে জানা গেছে।
এলাকাবাসীরা জানায়,নারী শিক্ষা প্রসারে নাসিরনগর উপজেলায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও শিক্ষক সংকটের কারনে এই বিদ্যালয়ে ছাত্রীরা ভর্তির আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। যে কারনে নারী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েরাও।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ইয়ার খাঁন বলেন, শিক্ষক সংকটের কারনে বিদ্যালয়টি চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, সমস্ত বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজহারুল ইসলাম ভূইয়া এ প্রতিবেদককে জানান, শিক্ষক সংকট নিরসনে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এটি চূড়ান্ত হয়ে গেলে কিছুটা সংকট দূর হবে।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, ইতিমধ্যে বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তবে ক্লাস চলমান রাখার জন্য ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসুচী থেকে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply