শাব্বির এলাহী,কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে কুরমা সীমান্তে সীমান্ত (বর্ডার) হাট স্থাপিত হচ্ছে। এতে বাণিজ্যেরও উন্নতি হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সীমান্তবর্তী মানুষ হাতের নাগালে পাবে। সীমান্তে চোরাচালান কমে আসবে। স্থানীয়রা নানা পণ্য হাট থেকে কিনতে পারবে। এতে দু-দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বও বাড়বে। এছাড়া পর্যটনের ক্ষেত্রেও প্রসারতা লাভ করবে। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমাঘাট এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধলই জেলার কমলপুর মোড়াছড়া সীমান্ত হাট। এই এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাটের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে (আজ) ৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার। ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। হাটটি চালু হলে বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন অধিবাসীরা উপকৃত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানি ও রপ্তানির মাধ্যমে লাভবান হবে দু’দেশের ব্যবসায়ীরা। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে দুই দেশের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে ২ একর ভুমিতে কুরমাঘাট-কমলপুর মোড়াছড়া বডার্র হাট নিমার্ণ করা হচ্ছে। ভারতীয় রুপী হিসাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আনুষ্টানিকভাবে এই বডার্র হাটের নিমার্ণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক স্থাপন করা হবে। বাংলাদেশ সরকারের বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি এমপি ও ভারতের ত্রিপুরা সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব যৌথভাবে টিমের নেতৃত্ব দিবেন। এছাড়া অনুষ্টানে মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) আসনের সংসদ সদস্য ও অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ,ভারতীয় হাই কমিশনারসহ প্রশাসনের উচ্চ পযার্য়ের কর্মকর্তাবৃন্দ টিমের সাথে থাকবেন। কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, কমলগঞ্জের ইসলামপুর কুরমা সীমান্তের ১৯০৩/৩৩ এস পিলারের কাছে এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধলই জেলার কমলপুর মোড়াছড়া এলাকার নোম্যান্স ল্যান্ড উভয় দেশের সমপরিমাণ ২ একর জায়গায় বর্ডার হাট নির্মাণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও সীমান্ত এলাকায় বৈধ বাণিজ্য নিশ্চিতে ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করেছিল সীমান্ত হাট কার্যক্রম। সীমান্ত হাটের প্রথম যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালের জুলাই মাসে কুড়িগ্রাম জেলার বালিয়ামারি সীমান্তে সোনাভরি নদের তীরে। উদ্দেশ্য ছিল সীমান্তের দুই পাড়ের মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে চাঙ্গা করে একদিকে তাদের জীবিকার সংস্থান করা এবং অন্যদিকে তাদের জীবন যাত্রার মানের উন্নয়ন। এর আর একটি উদ্দেশ্য ছিল দুদেশের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি, ভালোবাসা এবং ভাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করা।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply