কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় বাকীতে সিগারেট না দেওয়ায় শব্দকর সম্প্রদায়ের এক কলেজ ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে এক বখাটের বাড়িতে নিয়ে নির্যাতন করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার দোকানী নিগেন্দ্র কর (২২) কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। সে কমলগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কুমড়াকাপন এলাকার নিপেন্দ্র করের ছেলে। কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য প্রয়াত হুছন মিয়ার বখাটে ছেলে স্বপন মিয়ার নেতৃত্বে একদল বখাটে দোকানী নিগেন্দ্র করকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গত শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহত দোকানী নিগেন্দ্র কর এখন কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। খবর পেয়ে রোববার বিকেলে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে আহত দোকানী কলেজ ছাত্র নিগেন্দ্র কর জানায়, বখাটে স্বপন মিয়া প্রায়ই তার দোকানে এসে সিগারেট নিয়ে টাকা না দিয়ে চলে যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বপনকে বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় স্বপনের নির্দেশে তার সহযোগিরা স্বপনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে স্বপনের বাড়িতে আটকিয়ে প্রথমে কিছুটা শারীরিক নির্যাতন করে। পরে তাকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আহাদুর রহমান বুলুসহ স্থানীয় লোকজন তাকে দ্রুত উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার পর তার পিঠের বিভিন্ন স্থানে ৮২টি সেলাই দিতে হয়েছে। আহত দোকানী নিগেন্দ্র আরও জানায়, ভয়ে সে এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ করেনি। হাসপাতালের বেডে ছটফট করছে নিরিহ শব্দকর ছাত্রটি। আইনশৃংখলা বাহিনী দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করতে দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর থেকে হামলাকারী বখাটেদের খেঁাজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় আইনী পদক্ষেপ গ্রহনে তিনি দোকানীর পরিবারকে সহায়তা করবেন বলেও জানান। অভিযোগ সম্পর্কে জানার চ্ষ্টো করে হামলাকারী স্বপন মিয়াকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, বখাটে স্বপন মিয়ার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিস বিচারও হয়েছে। তার নেতৃত্বে একদল বখাটের হাতে অসহায় নিরিহ পরিবারগুলো আতঙ্কিত।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ করা হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply