স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার একটি গ্রামে পিতা-পুত্রের অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আশপাশের পাঁচ গ্রামের মানুষ। শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের বর্ণী গ্রামে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বর্ণী, কালসার, মেহারী, জমশেদপুর ও পদুয়া গ্রামের বাসিন্দারা অংশ নেন।
বর্ণী কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নোয়াব মিয়া, সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, বর্ণী ক্লাবের সাবেক সভাপতি জহিরুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম, ৭টি ওয়ার্ডের বর্তমান ও সাবেক সদস্য সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সভায় বক্তারা বলেন, বর্ণী গ্রামের বাসিন্দা শামছুল হক ভূঁইয়া ও তার ছেলে সুমন হত্যা ও চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। তাদের অপকর্মে পাঁচ গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। শামছু ও তার পরিবার গ্রাম থেতে বিতাড়িত হয়ে এখন গ্রামের লোকজনদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। গত ১৮ এপ্রিল বর্ণী গ্রামের বাসিন্দা কাহার মিয়া ও তার ছেলে রুবেল মিয়া, মোজাম্মেল হক এবং কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে ঘর ভাঙচুর এবং তার স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে মামলা করেছে।
বক্তারা আরও বলেন, মামলা সাজাতে সামসুল হক নিজেই ঘর ভেঙ্গে ফেলেন এবং তার স্ত্রী আহত হওয়ার নাটক সাজান। দ্রুত এ সাজানো মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
তবে অভিযুক্ত সামছুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। আর আমার বিরুদ্ধে হওয়া হত্যা মামলাটি বাদীর সাথে আপস হয়েগেছে। এখন গ্রামের কিছু প্রভাবশালী ও মাদকসেবীর কারণে বাড়িতে থাকতে পারছিনা।
সামছুলের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, কসবা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘর ভাঙচুরের সত্যতা পাওয়া গেছে।
তবে মামলার সাক্ষী দুই সাক্ষী মনিরুল হক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম বলেন, শামসুল হক মিথ্যা মামলায় আমাদের সাক্ষী করেছে। অথচ এসব ঘটনা আমরা অবগত নই। আদালতে এভিডেভিড করে জানিয়ে দেব, আমাদের না জানিয়ে সাক্ষী করা হয়েছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply