নিজস্ব প্রতিবেদক//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১০ম পঞ্চবার্ষিকী কর নির্ধারণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন পৌর কর্তৃপক্ষ।
মতবিনিময় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবিরের সভাপতিত্বে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ: কুদ্দুস কর নির্ধারণের বিষয়ে স্বাগত বক্তব্য রেখে আলোচনা করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শফিউল আলম লিটন, জেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম খোকন, জেলা হোটেল রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক শাহ আলম, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদৎ হোসেন। মতবিনিময় সভায় পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ ও পৌর শহরের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রায় দুই শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্যে প্রধান নির্বাহী মো. আঃ কুদ্দুস বলেন, পৌরসভার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গেছে। মেকাডম না করে রাস্তা মেরামত করতে হবে। কিন্তু পৌরসভায় তহবিল সংকট রয়েছে। তাই রাস্তাঘাট মেরামত করা যাচ্ছে না। তবে সম্প্রতি পৌর শহরের কালীবাড়ি মোড়-শিমরাইলকান্দি, হালদারপাড়া ও পুরাতন জেল রোড থেকে মুন্সেফপাড়া সড়কের রাস্তা মেরামতের জন্য পৌরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। খুব শিগগির এই তিন রাস্তার কাজ ধরা হবে। তিনি বলেন, সারা বিশ্বেই অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। পৌরসভায় বর্তমানে নালা পরিস্কার করার ক্ষেত্রে শ্রমিক সংকট রয়েছে। পাশাপাশি আগে শ্রমিক দৈনিক মজুরি ৩০০টাকা করে দেয়া হতো, যা এখন বেড়ে ৬০০টাকা হয়েছে। পৌরসভার আয়তন বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন ৯০ ট্রাকে ১৫০টন আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়, যা আগে ছিল ৬০ ট্রাক।
বক্তারা বলেন, বিগত পাঁচ বছরে পৌরসভার কোনো উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়নি। নাগরিকরা সব ধরণের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বর্তমানেও নাগরিকরা কোনো ধরণের সেবা পাচ্ছে না। মানুষ নিয়ম বহির্ভূতভাবে বহুতল ভবন করছে। কিন্তু পৌরসভার প্রকৌশলীরা কিছুই দেখছেন না। শহরের সকল নালা ও রাস্তার বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বক্তারা বলেন, শহরের ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং ফুটপাতকে হকার মুক্ত করার অনুরোধ জানান। তবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহরের বিভিন্ন এলাকা ও ফুটপাত থেকে হকারদের উচ্ছেদ বন্ধে বক্তব্য দেন।
আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শফিউল আলম আগের হোল্ডিং করকে বহাল রাখার পক্ষে বক্তব্য দেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, প্রতি বর্গফুট হিসেব করে হোল্ডিং কর নির্ধারণ করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু পৌরসভার লোকজন মাঠ পর্যায়ে যাচাইয়ের সময় যাদের বাড়ি পাঁচ হাজার বর্গফুট, তারা লিখেন তিন হাজার বর্গফুট। এখানে একটি শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। এই ফাঁকি বন্ধ করতে হবে। পুরনো হোল্ডিং এর বাড়ির সঙ্গে যৎ সামান্য বাড়িয়ে কর নির্ধারণের প্রস্তাব দেন তিনি। নাগরিকরা তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেন। মতবিনিময় সভায় সমাপনী বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র নায়ার কবির।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply