স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
নাম ঠিকানা পরিবর্তন করেও শেষ রক্ষা হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের চাঞ্চল্যকর সোহরাব হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি আলমগীরের। যাবজ্জীবন সাজা থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য নতুন নাম এবং ঠিকানায় এনআইডি প্রস্তুত করেন কুখ্যাত এ দস্যু। অবশেষে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।
গতকাল শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেল ৫ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের থলিয়ারা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিনকে গ্রেফতার করেন র্যাব।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার রায়হান সোহরাব হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিন, পিতা-আলা উদ্দিন ওরফে জিন্না মিয়া, গ্রাম-থলিয়ারা (নাটাই ইউপি), থানা-সদর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া। বর্ণিত আসামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানাধীন থলিয়ারা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ আত্মগোপনে ছিলো। এ
তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার বিকেলে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল থলিয়ারা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ আলমগীর হোসেন শাহিনকে গ্রেফতার করেন।
উল্লেখ্য, গত ২১/০৪/২০১৫ খ্রিঃ তারিখে সকাল ০৭.০০ ঘটিকার সময় মামলার ভিকটিম সোহরাব প্রতিদিনের মত সিএনজি নিয়ে বের হয়। রাত্রী বেলায় সোহরাব সিএনজি গাড়ী নিয়ে ফেরৎ না আসিলে স্বজনরা তার খোঁজ না পেয়ে বিজয়নগর থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেন। পরের দিন সংবাদ পায় যে, আসামী আলমগীর ভিকটিম সোহরাবের সিএনজি ছিনতাই করে নিয়ে যায় এবং সোহরাবকে হত্যা করে হরষপুর ইউনিয়নের বোল্লা টানপাড়া ব্রিজের পশ্চিম পাশের্ব পুকুরের ধারে সোহরাবের লাশ হাত বাধা অবস্থায় পানিতে ফেলে যায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজয়নগর থানার মামলা নং-৪৩, তাং-২৬/০৩/২০১৫ খ্রিঃ, ধারা ৩৯৪/৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয় এবং উক্ত মামালায় তাহার যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০,০০০/- টাকা অর্থ দন্ডে দন্ডিত হয়।
এছাড়াও, গত ২৪/০৩/২০১৫ খ্রিঃ তারিখ সকাল ০৭.০০ ঘটিকার সময় মামলার ভিকটিম উজ্জল তাহার বন্ধু আলমগীরের সাথে প্রতিদিনের মত সিএনজি নিয়ে বের হয়। রাত্রী বেলায় সিএনজি গাড়ী নিয়ে ফেরৎ না আসিলে স্বজনরা উজ্জ্বলের খোঁজে বের হলে ২৫/০৩/২০১৫ খ্রিঃ তারিখ সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় বিজয়নগর বিষ্ণুপুরে ধান ক্ষেতে উজ্জ্বলের লাশ পরে আছে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজয়নগর থানার মামলা নং-৪৯, তাং-১৩/০৩/২০১৫ খ্রিঃ, ধারা ৩৯৪/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। বর্তমানে মামলটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী কারাদন্ড থেকে বাঁচার জন্য তাহার নিজের নাম আলমগীর পরিবর্তণ করে গত ৩১/০৭/২০২২ খ্রিঃ তারিখে আল আমিন নাম হিসেবে নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী করে এবং উক্ত নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৮৭১৭৬২৭২৯৬ এ বাসা/হোল্ডিং নং-৪৩২, গ্রাম/রাস্তা-তেতৈতলা নয়নাবাদ, ডাকঘর-ভাটিয়াপাড়া, থানা-আড়াইহাজার, জেলা-নারায়ণগঞ্জ ঠিকানা ব্যবহার করে আসছে।
র্যাব-১৪ সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে গ্রেফতারী সাজা ওয়ারেন্ট মূলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply