কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বিক্রমকলস গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে প্রায় ঘণ্টাব্যাপি চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভায়। কিন্তু ততক্ষণে ৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ারসার্ভিস।স্থানীয় ও ফায়ারসার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বিক্রমকলস গ্রামের কৃষক হোসেন আলীর রান্নাঘর থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সেখান থেকে আগুন বৈদ্যুতিক লাইনে গেলে আগুন মুহ‚র্তের মধ্যে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে স্থানীয়রা প্রায় ১ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। কিন্তু ততক্ষণে হোসেন আলীর ৫টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ পুড়ে যাওয়া আগুনের বাড়িঘর পরিদর্শন করেন। এসময় উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নগদ ৩০হাজার টাকা এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাহিদ তরফদারের পরিবারের পক্ষ থেকে ২৫হাজার টাকার ঢেউ টিন ও নগদ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
অগ্নিকাণ্ডে হোসেন আলী বলেন, আগুন আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে। আমরা এখন কীভাবে বাঁচবো। মুন্সিবাজার ইউপি চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মো. নাহিদ আহমেদ তরফদার বলেন, আগুনে ৫টি ঘর পুড়ে তাদের ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।কমলগঞ্জ ফায়ারসার্ভিসের ইউনিট লিডার ফারুক আহমেদ জানান,‘আগুন লাগার খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘন্টাব্যাপি কাজ করি সাথে স্থানীরা আমাদের সহযোগীতা করেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন জানান,আমরা পুড়ে যাওয়া হোসেন আলীর ঘর পরিদর্শন করেছি। আমি উপজেলা প্রশাসন থেকে উনাদের নগদ ৩০ হাজার টাকা সহযোগীতা করেছি। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক থেকে উনাদের ঘর তৈরীর জন্য আসবাপত্র সহ সকল ধরনের সহযোগীতা করা হবে। তিনি আরো জানান,পুড়ে যাওয়া ঘরের একটি মেয়ে কলেজে পড়াশোনা করে সেই মেয়ের বইসহ অন্যান্য জিনিষপত্র পুড়ে যায় আমরা উপজেলা প্রশাসন থেকে সেই মেয়ের পড়াশোনার জন্য বই ও কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিব।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply