স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে লক্ষ্মীমোড়া গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার দুমাস পর নিহত হারুনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১১ ডিসেম্বর) বাদ মাগরিব পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর বন্দর বাজার সংলগ্ন কবরস্থানের পাশে শেখ হাসিনা সড়কে নিহত হারুনের এ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শালিসকারক তাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক হৃদয় আহমেদ জালাল, উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক এনামুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা প্রভাষক রফিকুল ইসলাম সহ এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
জানাযা নামাজের পূর্বে ওসি রাজু আহমেদ বলেন, আপনারা কেউ আইন হাতে তুলে নিবেন না। হারুন মিয়া কেন ও কিভাবে মারা গেছেন তা আপনারা ও আমরা সবাই অবগত আছি। আপনারা পুলিশ প্রশাসনকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। আপনাদের কথা দিচ্ছি এই হত্যার ঘটনায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। পাশাপাশি জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ সময় তিনি আরো বলেন, আপনাদেরকে আশ্বস্ত করে বলতে পারি, হত্যার ঘটনায় জড়িত নেই এমন কাউকে পুলিশ হয়রানি করবে না।
পত্তন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মনিপুর গ্রামের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম বলেন, নিহত হারুন অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। সে সব সময় নিরীহ মানুষের মতো চলাফেরা করতেন। সে আমার খুব আপনজন ছিলেন। তার এ মৃত্যুটি আমরা কেউ মেনে নিতে পারছি না। যারা তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে মেরেছেন তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। এ বিষয়ে আমরা পুলিশ প্রশাসনকে সর্বপ্রকার সহযোগিতা করব।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখ সন্ধ্যায় পুর বন্দরবাজার থেকে লক্ষী মুরাই তার বাড়িতে যাওয়ার পথে তোতা মিয়ার বাড়ির সামনে তাকে আটকিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা করেন। এ সময় তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর আহত হারুন মিয়াকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে টানা ১৭ দিন চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সম্প্রতি বাড়িতে নিয়ে আসেন। গতকাল শনিবার রাতে হারুন মিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফের তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply