স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় গরু বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে মা-ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শনিবার (২০মে) বিকাল ৫টায় উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের রাজকৃষ্ণপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে রাজকৃষ্ণপুর গ্রামের অমরেশ দাস এর স্ত্রী রত্না দাস ও পুত্র প্রশাস্ত দাস গুরুতর আহত হয়। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় অমরেশ দাস বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে প্রশান্ত দাসের চাচা নিরেশ দাসের গরু বিক্রিকে কেন্দ্র করে শ্যাম্পু দাসের সাথে তাদের তর্কবিতর্ক হয়। এরই জের ধরে ২০মে বিকেলে শ্যাম্পু দাসের নেতৃত্বে অন্তত ১০জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সরজমিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, প্রশান্ত দাসের বাম হাত ভেঙ্গে গেছে, হাতের জোড়া ছুটে আলাদা হয়ে গেছে। মুখে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। রত্না দাসের কোমড়ের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ায় তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারছেনা, শুয়ে থেকে কথা বলতে হচ্ছে। হামলাকারীরা প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এতে অমরেশ দাসের পরিবারের লোকজন আতংকে দিনযাপন করছে৷ এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে হামলাকারীদের বিচার চেয়ে অমরেশ দাস বলেন, ঘটনার দিন বিকেলে আমি রাজকৃষ্ণপুর মাঠ থেকে গরু নিয়ে আসার সময় শ্যাম্পু দাসের নেতৃত্বে একদল লোক ধারালো দা, লোহার পাইপ, লোহার রড, লাটি শোটা ইত্যাদি নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে দুটি গরু বিক্রির দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমার স্ত্রীর গলায় থাকা ৪৫হাজার টাকা মূল্যের আট আনা ওজনের স্বর্নের চেইন নিয়ে যায়। আমার ছেলে ও স্ত্রীর চিৎকারে হামলাকারীরা প্রানে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমার ছেলে ও স্ত্রীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। বর্তমানে আমিসহ আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।
এবিষয়ে সুলতানপুর ইউপির ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার আরিফুল ইসলাম নাছির মুঠোফোন এ প্রতিবেদককে বলেন, উভয়পক্ষের সাথে কথা বলে জেনেছি অমরেশ দাসের একটি গরু বিক্রি নিয়ে শ্যাম্পু দাসের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। শ্যাম্পু দাসকে ‘পাগলামি আলাপ করতাছস কেরে, তুই তো একটা পাগল ’ এই কথা বলে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও মারামারি হয়। পরে শ্যাম্পু দাস ফোন দিলে পূর্ব পাড়ার লোকজন এসে পশ্চিমপাড়ার অমরেশদের বাড়িতে তাদেরকে মারধর করে। হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়েছি। অমরেশ দাস এর স্ত্রী ও তার ছেলে প্রশান্ত দাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। অমরেশ ও তার পরিবারের লোকজন থেকে টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার কথা শুনেছি।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply