শফিকুর রহমান, সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদের মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন ঠাকুর।
শনিবার (২৪ জুন) সকালে উপজেলা পরিষদের নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন রফিক উদ্দিন ঠাকুর।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি বলেন, গত ১৯ জুন ২০২৩ তারিখে মহান জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন-১২ এর সাংসদ উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ) এর দেয়া বক্তব্যে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও আপত্তিকর তথ্য তুলে ধরেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সংসদের বক্তব্যে এমপি বলেছেন যে, মুস্তাক উত্তরসূরী তাহের উদ্দিন ঠাকুর চক্র সরাইলে সক্রিয়। যে চক্রটি ১৯৭৪ সালে তার শশুর আবদুল খালেক, ১৯৮৪ সালে ভাসুর হুমায়ন আজাদকে এবং এরই ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালে তার স্বামী ইকবাল আজাদকে হত্যা করে। এ বক্তব্যের প্রতিবাদে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, প্রকৃত সত্য এই যে, ইকবাল আজাদ হত্যাকান্ডের মিথ্যা মামলায় আমিসহ যাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে তাহাদের অনেকেই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম কুশিলব ও তাহের উদ্দিন ঠাকুরের ফাঁসির দাবীতে বিভিন্ন সময়ে মিটিং মিছিল ও প্রতবিাদ সমাবেশ করেছে। অথচ মহান সংসদে দাড়িয়ে আমাদেরকে তাহের উদ্দিন ঠাকুরের সাথে মেশানোর অপচেষ্টা করেছেন, যাহা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। তাহের উদ্দিন ঠাকুর তথ্য প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর তার শশুর আবদুল খালেককে ১টি টয়োটা গাড়ি উপহার দেন। তার শশুর আবদুল খালেক ছিলেন তালিকা ভুক্ত একজন যুদ্ধাপরাধী, তার অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ট স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ১৯৭৪ সালে আঃ খালেককে হত্যা করেন। তার ভাসুর হুমায়ন আজাদ ঠিকাদারীরকাজে কুমিল্লা যাবার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। বিগত ২১/১০/২০১২ তারিখে কথিপয় দুস্কৃতিকারী ও মাদকসেবীদের হাতে ইকবাল আজাদ দিবালোকে সরাইল বাজারে অসংখ্য মানুষের সামনে নিহত হয়। যা অত্যান্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয় ঘটনা। এই হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে সরাইল উপজেলার তৎকালীন আওয়ামীলীগের সভাপতি, সেক্রেটারী, সাংগঠনিক সম্পাদক, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, ডেপুটি কমান্ডা, সরাইল সদর ইউনিয়ন, কৃষকলীগে সাধারণ সম্পাদকসহ ২৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা করেন। যাতে স্পষ্ট দৃশ্যমান যে, তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব শুন্য করে একক আধিপত্য বিস্তারের অপচেষ্টায় লিপ্ত হন। তার স্বামী নিহতের ঘটনা সত্য কিন্তু আমরা যারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয়, আমাদেরকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা আসামী করা হয়েছে। আমরা সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমরা বলতে চাই ইকবাল আজাদ হত্যা মামলাটি পূনঃ তদন্ত করে হত্যাকান্ডে জড়িত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং আমরা যারা নির্দোষ আমাদেরকে অব্যাহতি প্রদান করা হোক।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply