স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে চাঁদা না দেওয়ায় লুৎফর রহমান ছোটন-(৪০) নামে এক ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে বাড়িঘরে ঢুকে লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই নারীসহ আরো ৩জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের চাউড়া দৌলতবাড়ি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
আহতরা হলেন-মোছাঃ নারগিস আক্তার -(৩৫) স্বামী লুৎফর রহমান ছোটন, রিনা বেগম-(৩৫) পিতা মৃত নুরুল ইসলাম ও আমির হোসেন-(১৫) পিতা মৃত ইউনুছ মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের চাউড়া দৌলতবাড়ি এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে লুৎফর রহমান ছোটন মিয়ার কাছে একই এলাকার মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে রিপন-(৩০), মৃত তাহের মিয়ার ছেলে বুলু মিয়া-(৩০) ও আবু সাঈদ মিয়ার ছেলে হোসেন মিয়া-(৩৭) সহ ৭/৮ জন মিলে সম্প্রতী ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান ছোটন এর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় লুৎফর রহমান ছোটনকে তার বসত বাড়ির উঠান থেকে ধরে নিয়ে মারধর শুরু করেন। এসময় ছোটনকে বাঁচাতে তার স্ত্রী নারগিস আক্তার ও তার বোন রিনা বেগম এবং ছোটনের দোকানের কর্মচারী আমির হোসেন এগিয়ে গেলে তাদেরকেও মারধর করেন। এসময় হামলাকারীর ছোটন মিয়ার স্ত্রীর কানের ৮ আনা ওজনের দুল ও গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন এবং দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ ১৯ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে হামলাকারীদের হাত থেকে ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান ছোটনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
এ ব্যাপারে আহত ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান ছোটন জানান, হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ। তারা বিভিন্ন সময় আমার কাছ থেকে ২/৩ হাজার টাকা করে ১০/১৫ বার চাঁদা নিয়েছেন। সম্প্রতি তাঁরা আমার বাড়িতে থাকা মায়ের স্বপ্ন ষ্টোরে এসে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তখন চাঁদা দিতে পারবোনা বলে জানালে কিভাবে ব্যবসা করি বলে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তারা। যার প্রেক্ষিতে আজ শনিবার দুপুরে এসে আমার বাড়ির উঠান থেকে আমাকে ধরে মারধর করেন। এসময় আমার স্ত্রী,ছোট বোন ও দোকানের কর্মচারী আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তারা তাদেরকে মারধর করে আমার স্ত্রীর কানের স্বর্ণের দুল ও গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন, একটি স্মার্ট ফোন ও একটি বাটন মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে আমার দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ ১৯ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে আমাকে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন জানান, জাতীয় হেল্প লাইন নাম্বারের মাধ্যমে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে এখনও পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply