সংবাদ শিরোনাম
প্যাডে এক ডাক্তারের নাম।। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে রোগী দেখছেন ভিন্ন ভিন্ন ডাক্তার!

প্যাডে এক ডাক্তারের নাম।। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে রোগী দেখছেন ভিন্ন ভিন্ন ডাক্তার!

স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
প্যাডে এক ডাক্তারের নাম। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে রোগী দেখছেন ভিন্ন ভিন্ন ডাক্তার!ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের আমতলী বাজারে পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিকের এমন প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঐ প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

জানা যায় যায়, জনৈক ডাক্তার সুব্রত সাহার নামে তৈরিকৃত প্যাডে একেকদিন একেক ডাক্তার নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে উক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখছেন। ডাক্তার সুব্রত সাহা সর্বশেষ ১৮ আগস্ট ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখে উক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনাকালে দেখা যায়, ডাক্তার সুব্রত সাহার প্যাড ব্যবহার করে বিগত ২৫ আগস্ট তারিখে এবং আজ পহেলা সেপ্টেম্বর তারিখে ভিন্ন নামের দুজন ডাক্তার রোগী দেখছেন। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত সপ্তাহে অর্থাৎ ২৫ আগস্ট তারিখে জনৈক সুব্রত সাহার কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এমন একজনকে পাওয়া গেলে তিনি জানান আজকে উপস্থিত ডাক্তার গত সপ্তাহে ছিলেন না। কিন্তু ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছেন ইনি ডাক্তার সুব্রত সাহা।
এ দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ নিজে রোগী সেজে ডাঃ সুব্রত সাহাকে ফোন দিলে তিনি জানান তিনি সর্বশেষ ১৮ আগস্ট চেম্বার করেছেন, এরপর আর পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখেননি। এতে প্রমাণিত হয় ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ডাঃ সুব্রত সাহা নামে মানুষের নিকট অন্যায়ভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং তাদের প্রতারিত করেছেন।
অভিযান পরিচালনাকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মাসুম, বিজয়নগর থানার এসআই জিএম কাদের এর নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন,ঘটনার সাথে জড়িত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মোঃ খুরশিদ আলম নিজের প্রতিষ্ঠানের এই অপরাধ স্বীকার করেন। এছাড়াও আজকে রোগী দেখতে উপস্থিত ডাক্তার তপন দেবনাথকে অন্য ডাক্তারের প্যাডে রোগী দেখছেন কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেন এবং ভবিষ্যতে এমনটি হবে না মর্মে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন। পরে ঘটনার সাথে জড়িত পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করে তা আদায় করা হয়েছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com