যদিও অামি এই সংগঠনের কেউ নই, তবুও অামি অাওয়ামীলীগ এর একজন কর্মী হিসাবে মনে করি যুবলীগের চেয়ারম্যানকে আরো সংযত হয়ে কথা বলা উচিৎ!
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যুবলীগের সবার আমলনামা আমার হাতে এসেছে। আমি সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যুবলীগের ঢাকা মহানগরের একজন নেতা যা ইচ্ছে করে বেড়াচ্ছে, চাঁদাবাজি করছে। আরেকজন দিনের বেলায় প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চলেন। যারা অস্ত্রবাজি করেন, যারা ক্যাডার পোষেন, তারা সাবধান হয়ে যান। তা না হলে, যেভাবে জঙ্গি দমন করা হয়েছে, একইভাবে তাদেরকেও দমন করা হবে।’
যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া ও ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ইঙ্গিত করেই প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেছিলেন বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
তারই প্রেক্ষিতে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, যুবলীগের মহানগরীর সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে তার পক্ষে সাফায় করে বলেন এটা কি বিরাজনীতিকরণের নীতি নিয়ে আসছেন? দলকে পঙ্গু করার কোনো ষড়যন্ত্রে আসছেন? নিষ্ক্রিয় করার ষড়যন্ত্রে আসছেন?’
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা বলছেন ৬০টি ক্যাসিনো আছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আপনারা ৬০ জনে কি এত দিন আঙুল চুষছিলেন? তাহলে যে ৬০ জায়গায় এই ক্যাসিনো, সেই ৬০ জায়গার থানাকে অ্যারেস্ট করা হোক। সেই ৬০ থানার যে র্যাব ছিল, তাদের অ্যারেস্ট করা হোক।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাকে অ্যারেস্ট করবেন? করেন। আমি রাজনীতি করি। ১০০ বার অ্যারেস্ট হব। আমি অন্যায় করেছি। কিন্তু আপনারা কী করেছেন? আপনারা অ্যারেস্ট করবেন। আমি বসে থাকব না। আপনাকেও অ্যারেস্ট হতে হবে। কারণ, আপনি প্রশ্রয় দিয়েছেন।
যদিও আমি ঐ সংগঠনের কেউ না,তবুও
আওয়ামীলীগ এর একজন কর্মী হিসাবে মনে করি যুবলীগের চেয়ারম্যান এর আরো সংযত হয়ে কথা বলা উচিৎ, যদি সংগঠনে কোন সমস্যা থাকে তাহলে সংগঠনে আত্বশুদ্ধি অভিযান চালান, তাতে করে আপনার সংগঠন এবং আওয়ামীলীগের ইমেজ বাড়বে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টোয়েন্টিফোর।
Leave a Reply