স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আমাদের জনপ্রিয়তা থাকলে জিতব, না থাকলে হেরে যাব, কোনো অসুবিধা নেই। আমরা রাজনীতি করি, রাজনীতিটা আমাদের ব্যবসা না। রাজনীতিটা হলো আমাদের আদর্শিক লড়াই; যেখানে হারও আছে, জিতও আছে। সুতরাং আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। আমরা হারার জন্যও প্রস্তুত, জেতার জন্য তো আমরা চেষ্টাই করি।শনিবার (০৫ অক্টোবর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারস্থ পৌর মুক্তমঞ্চে পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা কখনো হারতে চায় না, কারণ হারলে তাদের টাকা-পয়সার ক্ষতি হয়। তবে আমাদের তেমন ক্ষতি হয় না। কারণ আমরা রাজনীতি করি, আমরা কোনো প্রকার ব্যবসা করি না। আমরা জনগনের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য কাজ করি। বিগত জাতীয় নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মোকতাদির চৌধুরী আরো বলেন, এবারের সম্মেলন ইঁদুর মারার সম্মেলন, আমরা দলের ভিতর কোনো ইঁদুর রাখব না। যারা ঘরে খেয়ে ঘরের বেড়া কাঁটবে; এই ধরনের ইঁন্দুরদের (ইঁদুর) আমরা কোনো কমিটিতে রাখব না।’
মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, একটা জিনিস মনে রাখবেন, হার-জিতের সঙ্গে সংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই। সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক হলো সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড। আপনি সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডটা করেন কিনা, নাকি দলের ভিতরে থেকে ইঁদুর হয়ে কাজ করেন এটিই মূখ্য বিষয়। আপনাকে সংগঠন করতে হলে সংগঠনের প্রতি শতভাগ অনুগত থাকতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে জুয়া খেলা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা মোকতাদির চৌধুরী বলেন, এই শহরের কোথাও যদি জুয়া খেলা হয়, আমি পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করব আপনারা এই জুয়া খেলার আড্ডাগুলো ভেঙে দিন। নতুবা জনগণ যদি নিজেদের হাতে আইন তুলে নেন তাহলে নিশ্চয় এটি আপনাদের জন্য বেশি সুখকর হবে না। তিনি বলেন, ভূমিদস্যুদের আমরা বিন্দুমাত্র সহ্য করব না। রেলওয়ের জমি হোক, গণপূর্তের জমি হোক অথবা সড়ক ও জনপদের খাস জমি হোক কোনো জায়গায় আমরা ভূমিদস্যুদের সমর্থন করি না এবং ভবিষ্যতেও করব না।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, সহসভাপতি ও পৌর মেয়র মিসেস নায়ার, হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, আওয়ামীলীগ জাতীয় পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব আবুল কালাম ভুইয়া, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, শাহ আলম সরকার।
পৌর আ’লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হাজী মুসলিম মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এর পরিচালনায় জেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হলে সুুুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খা পৌর মিলনায়তনে দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ মুসলিম মিয়াকে পুনরায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং মোঃ রফিকুল ইসলামকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টোয়েন্টিফোর।
Leave a Reply