মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পাশ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার ও নাসিরনগর উপজেলার প্রতিবেশী গ্রাম লাখাই উপজেলার মোড়াকুড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামে ঘন ঘন চুরি ডাকাতির ঘটনায় আতংকে রয়েছে গ্রামবাসী।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে ওই গ্রামে বেশ কয়েকটি চুরি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।ডাকাতির সাথে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের চিনতে পারলেও ভয়ে কেউ মুখ খোলে নাম বলার সাহস পাচ্ছে না বলে জানায় স্থানীয়রা।
ফুলবাড়িয়া গ্রামের রেজু মিয়ার স্ত্রী আছিয়া বেগম (৩৪) জানায়,২০১৬ সালে ও ২০১৭ সালের জুলাই মাসে তার বাড়ীতে পরপর দুইটি ডাকাতি সংঘটিত হয়। ওই ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়। পরে ডাকাতদের হুমকিতে প্রাণের ভয়ে তিনি তার স্বামী সন্তানদের নিয়ে গ্রাম ছেড়ে বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করছেন। তাছাড়াও গ্রামের খেলু মিয়া ও তার ছেলে সেন্টু মিয়ার বাড়ীতে,খায়রুল মিয়ার ছেলে সাজু মিয়ার বাড়ীতে, মসকর আলীর ঘরে, হাজী আব্দুর রৌফ ও জিয়াউর রহমানের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তাছাড়াও কদর আলীর ছেলে, কামাল মিয়ার ঘরে চুরি সংঘটিত হয়। গত শনিবার রাতে ফুলবাড়িয়া গ্রামের মিলন মিয়ার বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ বিভিন্ন সড়কে চেক পোষ্ট বসিয়ে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। ওই ঘটনায় লাখাই থানায় একটি ডাকাতি মামলা হয়। ওই ডাকাতির সাথে জড়িত বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাইদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে এ সমস্ত ডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি নতুন এসেছি। এসব বিষয়ে কিছু জানি না। ডাকাতির মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ মোবারক হোসেন বলেন সব ঠিক না।
লাখাই উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া মোজাহিদের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি রেজু মিয়া তার পরিবার নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে শহরে যাওয়ার বিষয়টি সত্য বলে জানান। তিনি আরো বলেন এ সমস্ত বিষয়ে আমরা মাসিক আইন শৃংখলা সভায় আলোচনা করে রেজুলেশন করি। শনিবারের ঘটনায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার নিজে মাঠে নেমে আসামী গ্রেপ্তার করেছেন।
এ বিষয়ে মোড়াকুড়ি ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মর্জিনা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোন ডাকাতির ঘটনা আমি নিজের চোখে দেখিনি। সব চেয়ারম্যান জানে। চেয়ারম্যান দেশের বাহিরে আছেন বলে জানান তিনি। গ্রামের চোর ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসলে এ সমস্ত চুরি ডাকাতি বন্ধ হবে বলে দাবী স্থানীয়দের।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টোয়েন্টিফোর।
Leave a Reply