স্টাফ রিপোর্টার //সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সমর্থকদের হামলায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের জেলা বিএনপির আলোচনা সভা পন্ড হয়ে গেছে। এ হামলায় জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মোল্লা সালাউদ্দিন সহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়।
বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) বিকেলে শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারে সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম বাশারের নাম পরে ডাকা নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সভার শুরু হওয়ার পর সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম আবুল বাশারের নাম পরে ডাকা নিয়ে তার সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে উপস্থিত কয়েকজনের সাথে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। এসময় ক্ষুব্ধ হয়ে বাশার অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। এরকিছুক্ষণ পরে সভা চলাকালে তার পক্ষের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সভাস্থলে উপস্থিত হয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মোল্লা সালাউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় আতংক ছড়িয়ে পড়লে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সভাস্থল ত্যাগ করেন।
এবিষয়ে জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম আবুল বাশারের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা (কচি) জানান, আমাদের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনাটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। পুলিশ বাইরে থাকার পরেও কিভাবে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করতে পারে? তিনি আরও বলেন, যদি এই ঘটনায় দলীয় কেউ জড়িত থাকে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) সুমন দেবনাথ বলেন, আলোচনা সভার কনভেনশন সেন্টারে বাইরে আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। যেন বাইরে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতে পারে। কনভেনশন সেন্টারের ভেতরে কি হয়েছে তা তাদের দলীয় বিষয়।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply