মামুন রেজা (ধামরাই) প্রতিনিধি
ঢাকার ধামরাই উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের বাথুলী বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ইটভাটার খালি জায়গা ভাড়া নিয়ে খোলা আকাশের নিচে কয়লার পাহাড় জমিয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কে বি সি এগ্রো প্রোডাক্টস লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাশে কেবিসি এগ্রো প্রোডাক্টস নামে এক প্রতিষ্ঠান খোলা আকাশের নিচে কয়লার ব্যবসা করছে।খোলা আকাশের নিচে কয়লা ব্যাবসার কারণে বাথুলী বাস স্ট্যান্ড এলাকায় সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ ঐ এলাকার মানুষের ব্যাপক অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।শুধু তাই নয় বাথুলী বাস স্ট্যান্ড এলাকার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সব মালামাল ও নষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন।
এ ব্যাপারে বাথুলী বাস স্ট্যান্ড এলাকার ব্যাবসায়ী তারেক বলেন, এ কয়লায় আমাদের রাস্তায় যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। ছোট বাচ্চাদের হাচি- কাশি সহ নানাবিধ ঠান্ডাজনিত রোগে ভোগছে।যদি অতি তারাতারি এসব কয়লা অপসা না করলে এলাকাবাসীর ভীষণ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। পরিবেশগত সমস্যাসহ নানাবিধ রোগের আতংকে রয়েছে সাধারণ জনগণ।
আরও জানা যায়, এর আগে কেবিসি কারখানাটিকে পূর্বে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেড সারওয়ার আলম বিভিন্ন অনিয়ম ও শুকরের চর্বি ব্যবহার করে মাছ,হাস মুরগির খাবার ও তেল তৈরির অপরাধে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করে থাকেন। তারপরও তাদের অনিয়মের শেষ নেই। স্থানীয় জোর দাবি জানিয়ে বলেন, র্যাব ৭৫ লক্ষ টাকা কারখানাটির অনিয়মের কারনে জরিমানা করার পর কারখানাটি আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে পড়েন। এলাকার মানুষের কোন সমস্যা হচ্ছে কি না সেদিকে খেয়াল না করে তাদের ব্যবসায়ের সুযোগ সুবিধার কথাই বেশি বিবেচ্য।কেবিসি গ্রুপের কর্মকর্তা ওবায়দুল বলেন, আমাদের কোম্পানি বিদেশ থেকে এই কয়লা আমদানি করে এনেছে। আমরা একটি ইটের ভাটা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করিতেছি। আমরা কারও কোন ক্ষতি করছি না, শুধু কারখানা কর্তৃপক্ষ ব্যবসা করছে।
বাথুলি এলাকাবাসী মনে করেন, এই কয়লার কারণে এখন ছোট শিশু, বয়স্ক লোকজন সবাই সবাই বিভিন্ন রোগের স্বীকার হতে হবে। শুধু তাই নয় শত শত টন কয়লা আমদানি করে এনে তা এলাকার বিভিন্ন ইটের ভাটাসহ ধামরাইয়ের বাইরেও তা বিক্রি করা হচ্ছে। এতে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি রাস্তায় যানযট লেগেই থাকে।
এ ব্যাপারে সূতিপাড়া ইউনিয়ননের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা বলেন, কেবিসি কারখানার কয়লা এনে বিভিন্ন ইটের ভাটায় বিক্রি করছে। এ বিষয়ে কারখানার কতৃপক্ষ আমাকে কোন কিছু জানায় নি। আমি এ বিষয়টা নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।
এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএস ফজলুল রহমান জানান, খোলা আকাশের নিচে কয়লা ব্যাবসা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো সামিউল হক বলেন, কেবিসি এগ্রো প্রডাকস কারখানাটি পরিবেশ দূষণ করে কয়লার ব্যবসা করছে তা আমি জানতে পেরেছি। এখন কারখানা কর্তৃপক্ষ আইন মেনে ব্যবসা করছে কি না সে বিষয়ে দেখব। প্রতিষ্ঠানটি অনিয়ম করে ব্যবসা করলে তাদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply