প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’কে মা ডেকে অভিযােগ লিখেছেন সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া। তিনি আজকের তাজা খবর পত্রিকার বার্তা সম্পাদক। সারাদেশে সরকারি বৈধতা ছাড়াই মানবাধিকার সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন ও তদন্ত কর্মকর্তার দৌরাত্ম অহরহ। গ্রামের সহজ সরল মানুষের সরলতার সুযােগে তাঁরা প্রতারণা করছে বলে অভিযােগ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি। বগুড়ার নদীগ্রাম ডাক অফিসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে সাংবাদিকের স্বাক্ষরিত অভিযােগটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঠিকানায় পাঠানাে হয়।
অভিযােগে বলা হয়, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার ছােট শিবেরচর গ্রামের গ্রাম পুলিশ হাবিবুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান ওরফে ঘটক আতিক নিজেকে সাংবাদিক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, মানবাধিকার চেয়ারম্যান, আবার কখনাে তদন্ত কর্মকর্তা পরিচয়ে অপরাধ অনুসন্ধানের নামে প্রতারণা করে আর্থিক ফায়দা লুটছে। তিনি বর্তমানে রাজধানীর মিরপুরে বসে প্রতারক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে। এই অসাধূ ব্যক্তির সাথে শাহিনুর নামের এক নারীসহ একটি বড় সক্রিয় প্রতারক চক্র আছে। তাঁরা সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে সিন্ডিকেট চালায়।
বিজয়ের মাস টার্গেট করে রেজিস্ট্রশন বিহীন অবৈধ ‘ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন’র প্রতারণার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরােধ করা হয়েছে। এটা একজন গণমাধ্যমকর্মীর আবেদন।’ শীর্ষক বিষয়ের অভিযােগে সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া লিখেছেন, জয়েন স্টােক খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ২০১৮ সালের ১১ মার্চ ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন নামে সংগঠনের বৈধতার জন্য আবেদন নং ২০১৮৮৩৫৫৭৭ করেন অভিযুক্ত আতিকুর রহমান। তাঁর পিতা গ্রাম্য চকিদার হলেও আবেদন এবং গঠনতন্ত্রে তিনি পিতার নামের আগে বীর মুক্তিযােদ্ধা উল্লেখ করেছেন। মুক্তিযােদ্ধা তালিকায় নাম না থাকা সত্বেও নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য নিজের পিতাকে বীর মুক্তিযােদ্ধা উল্লেখ করে জালিয়াতি করছে। সংগঠনের বৈধতার জন্য যেসকল নিয়ম রয়েছে, সবগুলাতেই ব্যর্থ হওয়ায় আবেদনের মেয়াদ শেষ হয়ে ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর। সংগঠনের বৈধতা না পেলেও দেদারছে চলছে তাঁদের অপকর্ম। তদন্ত কর্মকর্তা পরিচয়ে অপরাধে অনুসন্ধানের নামে লাখ টাকা বখরা নেন তিনি। সংগঠনের কথিত চেয়ারম্যান ঘটক আতিকুর বেশকয়েকটি ফােন রেকর্ড সংগ্রহ করে অবৈধ মানবাধিকার সংগঠনের মুখােশ উন্মােচন করে চলতি ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ‘মুখােশের আড়ালে আতিকুর অপকর্ম’ শীর্ষক সংবাদ গণমাধ্যম প্রকাশ করি। এরপর থেকেই আমার পেছনে লেগেছে ওই অপরাধী চক্র। আমার ছবি সহ সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে ফেসবুকে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার সহ মানহানি করে চলছে প্রতারক চক্রের সদস্যরা। এঘটনায় প্রতারক চক্রের প্রধান আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রােপলিটন পুলিশের উত্তরা তুরাগ থানায় আমি একটি জিডি করেছি। জিডি নং- ২২৬, তারিখ ০৫/০৭/২০১৯ ইং। এতেও সুফল পাইনি। বর্তমানেও আমার সম্মানহানি করে ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে ওই চক্র। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাস থেকে অভিযুক্ত সংগঠন ও ব্যক্তিরা ‘মহান বিজয় দিবস’ ও বিজয়ের মাস টার্গেট করে একলাখ কর্মী সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রত্যেকের কাছ থেকেই সম্মানি ফি নামে চাঁদাবাজি করছে। এই বিষয়েও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। গ্রামের সহজ সরল মানুষদের প্রলােভন দেখিয়ে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন নামের এই অবৈধ সংগঠন কােটি টাকার প্রতারণার মিশনে নেমেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’কে মা ডেকে অভিযােগে আরও বলা হয়- মা, আপনার সন্তানদের দিকে একবার সু-নজর দিন। বাংলাদেশে কিছু ভুয়া সংগঠনের দৌরাত্ম বন্ধে আপনার হস্তক্ষেপ জরুরি। প্রতারক আতিকুর রহমান ওরফে ঘটক আতিকুর বিরুদ্ধে কঠাের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে ওই সংগঠনের প্রতারণা সহ নানা অপকর্মের প্রমাণ সংযুক্ত করে অভিযােগ পাঠিয়েছেন এই সাংবাদিক। অভিযােগের অনুলিপি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর পাঠানাে হয়েছে।
সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া বলেন, গত রবিবার ডাক অফিসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযােগ পাঠিয়েছি। গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন নামে ভুয়া সংগঠনের দৌরাত্ম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। গ্রাম পর্যায়েও সহজ সরল মানুষকে জিম্মি করে প্রতারণা করে চলছে। সংগঠনের আইডি কার্ড বিক্রি ও সদস্য সংগ্রহের নামে চাঁদাবাজি চলছে। সাধারণ মানুষ ভয়ে চুপ থাক। আমি গণমাধ্যমকর্মী তাই চুপ থাকতে পারিনা। সামাজিক দায়িত্ববােধ থেকেই প্রতিবাদ নেমেছি। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)।
Leave a Reply