সংবাদ শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ সহ হাসপাতালের সেবা বন্ধের ঘোষণা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ সহ হাসপাতালের সেবা বন্ধের ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি 

থার্টি ফার্স্ট নাইটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ভেতরে চিকিৎসকদের ব্যাটমিনটন খেলার প্রতিযোগিতা পিঠা উৎসবের নামে আতশবাজি ফোটানো ও কনসার্ট এর ঘটনায় জেলা শহরে ব্যাপক সমালোচনা ও ভুল চিকিৎসার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় তিন চিকিৎসক জেলে যাওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ।

আগামীকাল শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধসহ চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএমএ। এর মধ্যে হাসপাতালের সেবা বন্ধের কর্মসূচিও রয়েছে।একটি সূত্র জানায়, থার্টিফার্স্ট নাইটে হাসপাতালের ভেতরে আতশবাজি ফোটানো ও ডিজে কনসার্ট এর ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনাটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নজরে আসায় জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ শাহ আলম ও জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেন এর কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে। একই সাথে তিন চিকিৎসকের জেলে থাকার বিষয়টিও জানতে চাওয়া হয়।     

এদিকে সিভিল সার্জন ডাঃ শাহ আলম হাসপাতালের ভিতরে ঐদিন শিশুরা আতশবাজির আয়োজন করেছিল। বিষয়টি জানার পরপরই আমরা এসব বন্ধ করে দেয়। অপরদিকে, থার্টিফার্স্ট নাইটে হাসপাতালের ভিতরে আতশবাজি ফোটানো ও ডিজে কনসার্টের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হলে সেই ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেন সহ কয়েকজন চিকিৎসক আতশবাজি ফোটাচ্ছেন।বিএমএ এর বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়,  ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক নওশীন আহমেদ দিয়াকে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালের কর্ণধার ডাঃ ডিউক চৌধুরী সহ তার হাসপাতালে কর্মরত আরো দুজন চিকিৎসককে জেলহাজতে পাঠানোর প্রতিবাদে চারদিনের কর্মসূচি দেন চিকিৎসক সংগঠন বিএমএ। 
গতকাল শুক্রবার বিএমএ ভবনে এক সভা শেষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির কথা জানিয়ে আরো বলেন, আজ শনিবার ৪ জানুয়ারি ২০২০ ইং থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করবেনা। পাশাপাশি আগামী ৫ ও ৬ জানুয়ারি জেলা সদর হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন ও দুপুর ১২ টা থেকে ২টা পর্যন্ত হাসপাতালের বর্হিবিভাগে রোগী দেখবেন না এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তাহীনতা দেখিয়ে ৭ জানুয়ারি সরকারি ও বেসরকারি সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখার ঘোষনা দেন। তবে জরুরি চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার নিয়ন্ত্রণ সেলের মাধ্যমে সমন্বয় করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএমএ এর সাধারন সম্পাদক ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ জানান, একজন চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় রোগী মারা যাওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকদের জেলে রাখাটা মানার মতো নয়। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেন জানান, কর্মবিরতিকালে বিকল্প ব্যবস্থায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। 

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ শাহ আলম এ প্রতিবেদককে জানান, কর্মবিরতি পক্ষে আমি একমত না। তবে হাসপাতালের ভিতরে  চিকিৎসকদের আতশবাজি ফোটানো একটি প্রফাকান্ডা ছাড়া কিছুই না।         

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।               

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com