সংবাদ শিরোনাম
“স্মার্ট ডিভাইস পরিচালনার দক্ষতাকেই স্মার্ট হওয়া বোঝায় না বরং বই পড়ার মাধ্যমে স্মার্ট মানুষ হওয়া যায়; এডিসি সাইফুল ইসলাম অসুস্থ শিক্ষকের শয্যা পাশে কমলগঞ্জের ইউএনও কমলগঞ্জে আন্ত: বিভাগীয় ডাকাত সর্দার কালা বাবুল গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ হাজার ২শত কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ সরাইল উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির তিন জনকে সংবর্ধনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ঈদকে সামনে রেখে জাল টাকার ছড়াছড়ি – নবীনগরে জালনোটসহ একজন আটক।। ১৫ দিনের জেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হালাল বেকারির পাউরুটিতে নিষিদ্ধ ব্রোমেটের উপস্থিতি শোক সংবাদ: মোহাম্মদ আবু আহম্মদ মৃধার ইন্তেকাল চাঁদের নিচে কি ওঠা!

আশুগঞ্জে সেচ প্রকল্পের খালে বাধ দিয়ে মাছ চাষ ; ময়লার দুর্গন্ধে মানুষের দুর্ভোগ

আশুগঞ্জে সেচ প্রকল্পের খালে বাধ দিয়ে মাছ চাষ ; ময়লার দুর্গন্ধে মানুষের দুর্ভোগ

মোঃ ফারুক মিয়া// আশুগঞ্জ সংবাদদাতা   

চলতি ইরি বোরো মৌসুমে পানি সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি সহায়তার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার  আশুগঞ্জ পলাশ এগ্রো ইরিগেশন প্রকল্পটি গত ১৮ই জানুয়ারী উদ্ভোধন করা হয়। কিন্তু উক্ত প্রকল্পে পানি সরবরাহের আগে ড্রেনে ময়লা আবর্জনা ও মাছ ধরার খুটি অবসারণ না করায় খুটি গুলোতে আটকিয়ে ভাসমান ময়লার দুর্গন্ধে মানুষের টেকা দায় হয়েছে। পঁচনশীল ময়লা পানিতে ভেসে যাওয়ায় আশেপাশের পরিবেশ দূষিত হয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নাহার গার্ডেনের পার্শ্ববর্তী স্থানে আশপাশের বিভিন্ন খালে বয়ে যাওয়া পানি সবুজখালের অংশে প্রকল্পটিতে ময়লা আবর্জনার স্তুপে ভরে আছে। বাঁশের মাধ্যমে বাঁধ দিয়ে খালের বিভিন্ন জায়গায় মাছ ধরা হচ্ছে। যার ফলে পানি স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। ভাসমান এই সব ময়লা জমিতে গিয়ে পড়লে কৃষি জমির উর্বরতা হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

এদিকে সবুজ প্রকল্পের খাল বিভিন্ন স্থানে উম্মুক্ত হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময় গরু বাছুর, হাস মুরগী ও ছোট বাচ্চারা পরে গিয়ে প্রাণহানি ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। বাস্তবত খালটির পানি প্রবাহের জন্য দুই মাস ব্যবহার করা হয় ঐ সময় বিএডিসির কিছু লোক খালটির তত্ত্বাবধানে থাকেন। আরো দেখা গেছে সম্পূর্ণ খালে বয়লার বর্জ নির্গত হওয়া ছাই দিয়ে ভরাট থাকার কারণে পানিতে ছাই মিশে জমিতে ঊর্বরতা হারানোর শঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা। 

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ সেচ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী মোঃ খলিলুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আশেপাশের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের দায়িত্ব আমার না। সেচ মৌসুমে পানি সরবরাহের প্রয়োজনে ২ মাস খাল ব্যবহার করি , পরের সময় খাল দেখার দায়িত্ব আমার না। 
উল্লেখ, সেচ মৌসুমে বিএডিসির সেচ প্রকল্পের আওতায় আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পানি কুলিং রিজার্ভের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অংশ প্রায় ১৫০০০ হেক্টর জমিতে সেচের পানি সরবরাহ করা হয়। প্রতি বছর ৫৬২৫০ মেট্রিক টন শষ্য উৎপাদন এবং ৩৪১২৫ কৃষক পরিবার উপকৃত হচ্ছে। 
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।    

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




আজকের দিন-তারিখ

  • শুক্রবার (সন্ধ্যা ৭:৩৩)
  • ৮ই রমজান, ১৪৪৪ হিজরি
  • ১৭ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল)
© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com
Translate »