নিজস্ব প্রতিবেদক//সময়নিউজবিডি//রাজশাহী
রাজশাহীতে ৫ মাদক মামলার আসামীকে বাঁচাতে বেলপুকুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার বেলপুকুর থানা পুলিশ বাদুড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারঘাট উপজেলার চামটা গ্রামের ইমান আলী ছেলে ৫ টি মাদক মামলার আসামী মো সোহেল (৩৫) নামের মাদক ব্যবসায়ীকে হেরোইন সহ গ্রেপ্তার করে। তার পর থেকে আটক মাদক ব্যবসায়ীর বাবা অস্ত্রসহ ৫ টি মাদক মামলার আসামী ইমরান আলী গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে তার ছেলে কে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ করে বেলপুকুর থানা পুলিশের চৌকশ অফিসার এসআই শফিক এর নামে মিথ্যা অপপ্রচার করছে।
ঘটনা সুত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেলপুকুর থানার এসআই শফিকের নেতৃত্বে একটি থানা পুলিশের টিম বিকালে ওই এলাকার জালালের ছেলে জুয়েল ও সলুয়া গ্রামের শামসুল শাহের ছেলে নিপু ও ৫ টি মাদক মামলার আসামী চারঘাট উপজেলার চামটা গ্রামের ইমান আলী ছেল মো সোহেল (৩৫) মাদক বহন করে মোটরসাইকেল যোগে বাদুড়িয়ার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বেলপুকুর থানা পুলিশের এস আই শফিকুল ইসলাম তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। মাদক ব্যবসায়ী সোহেল (৩৫) দেহ তল্লাসি করে ১০ গ্রাম হেরইনসহ আটক করে মোটরসাইকেলসহ তিনজনকেই থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে আটক কৃত সোহেল মাদক ব্যবসায়ী স্বীকার করে। এসময় সোহেলের দেয়া জবানবন্দীতে অন্য দুই জন মাদকের বিষয় কিছু জানে না বলে নিপু ও জুয়েল কে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরে ১০ গ্রাম হেরইনসহ মাদক ব্যবসায়ী সোহেলের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা দায়ের করে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করে। এ ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ী ছেলেকে বাঁচাতে সোহেলে পিতা ইমান আলী ১ লাখ টাকা না দেয়ার কারনে তার ছেলে কে মাদক মামলা দিয়েছে বলে গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশ কে বিপাকে ফেলার জন্য মিথ্যা অপপ্রচার করছে। সোহেলের পিতা ইমান আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, মাদক সহ ৫টি মামলা রয়েছে। তারা বাবা ছেলে পুলিশের তালিকা ভুক্ত মাদক সম্রাট।
এ ঘটনায় এসআই শফিক ইসলাম বলেন, তারা বাবা ও ছেলে পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যাবসায়ী। মাদকসহ সোহেলকে গ্রেফতার করার পর থেকেই তার পিতা ইমান আলী বিভিন্ন ভাবে তদবীর ও চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করতে থাকে। সোহেলকে না ছাড়লে থানা ছাড়া করা হবে বলেও ফোনে হুমকি দেয় পুলিশ কে। মাদক ব্যবসায়ী কে বাঁচাতে গনমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
তিনি আরো জানান, কোন টাকা কারো কাছে থেকে নেয়া হয়নি। মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মাদক বহন করার বিষয় স্বীকার করেছে। তার দেয়া জবানবন্দী ভিডিও ফুটেজ আছে।
আরএমপির বেলপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর বলেন, বেলপুকুর থানা উদ্বোধনের পর থেকে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে এসআই শফিক আতংঙ্কে। সোহেল একজন মাদক সম্রাট। তার কাছে হেরোইন ছিল তা স্বীকার করেছে পুলিশের কাছে। সোহেলের বাবা ইমান আলীর বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়। তার ছেলেকে বাঁচাতে মিথ্যাচার করছে তারা।
তিনি আরো জানান, মাদক বিরোধী অভিযান থানা এলাকায় অব্যাহত রয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে ৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে মাদকসহ আটক করা হয়েছে। এছাড়া সাজা প্রাপ্ত পলাতক ২ জন আসামী ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত ৬ জন আসামী কে এসআই শফিকের নেতৃত্বে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ইয়াবা ১ হাজার পিচ, ৯০ বোতল ফেনসিডিল ও ১২ গ্রাম হেরইনসহ মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেপ্তার করে এসআই শফিক। মাদক দিয়ে ফাঁসিয়েছে বা টাকা নিয়েছে এসব মিথ্যাচার করছে বলে জানান ওসি।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply