সংবাদ শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরকে সম্প্রসারিত করে পরিকল্পিত নগরায়ন করা হবে: গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরী এমপি কমলগঞ্জে শমশেরনগরে রেলপথ ঘেষে জমে উঠে অবৈধ পশুর হাট; দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলালিংক ও হুয়াওয়ের চুক্তি ডেঙ্গু ঠেকাতে সোমবার থেকে মাঠে নামছে ডিএনসিসি অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১৩ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন শেষ হলো সাহিত্য একাডেমির ৭ দিনব্যাপী “বৈশাখী উৎসব।। সচিব খলিল আহমদকে বৈশাখী উৎসব সম্মাননা প্রদান সরাইলে উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির প্রার্থী তপু লস্কর নবীনগরে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষে একজন নিহত ও আহত-৩।। আটক-৪ কমলগঞ্জে নিরাপদ সড়ক চাই’র আইডি কার্ড বিতরণ ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের ৫ম দিনে নির্বাচিত গ্রন্থের প্রকাশনা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

কক্সবাজারের ৪৬ হাজার জেলে পরিবার পাচ্ছে ১ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন ভিজিএফ বরাদ্দ চাল

কক্সবাজারের ৪৬ হাজার জেলে পরিবার পাচ্ছে ১ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন ভিজিএফ বরাদ্দ চাল


সাকিব, সদর উপজেলা কক্সবাজার প্রতিনিধি 

কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় মাছ আহরণ ছাড়া জেলেদের আয়ের অন্য কোনো উৎস না থাকায় মাছ ধরা বন্ধের সময় জেলেদের জীবিকা নির্বাহ অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। ক্ষুধা নিবারণ ও দাদনদারদের ঋণের কিস্তি পরিশোধ করার জন্য জেলেদের বঙ্গোপসাগরে প্রধান প্রজনন মৌসুমে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মাছ ও চিংড়ি জাতীয় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধের সময় কক্সবাজারের ৪৬ হাজার ৮৭ জন জেলে পরিবারকে ৪০ কেজি করে চাল দেবে সরকার।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রমতে, কক্সবাজারে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩৯৩ জন। কিন্তু জেলায় এর বাইরে আরও ৫০ হাজারের বেশি জেলে রয়েছে। মাত্র ৪৬ হাজার জেলের পরিবারের জন্য চাল বরাদ্দ করলেও অধিকাংশ জেলেই সহায়তার বাইরে থেকে যাচ্ছে। তবে যেসব জেলে পরিবার সরকারি চাল বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের সহায়তা দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাছ ধরা বন্ধের সময়ে জেলেদের খাদ্যশস্য সহায়তা দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই খাদ্যশস্যের উপকারভোগি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৮৭ জন জেলের পরিবার। প্রতি পরিবারে ৪০ কেজি করে বিতরণ করা হবে।

সূত্রমতে, কক্সবাজারে ৭ উপজেলার ৪৬ হাজার ৮৭ জন জেলের পরিবারের চাল বরাদ্দ হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৭ হাজার ৯৫ জন, চকরিয়ায় ৩ হাজার ৮৪৯ জন, মহেশখালীতে ১১ হাজার ৪২২ জন, উখিয়ায় ৩ হাজার ৩৯৯ জন, পেকুয়ায় ৩ হাজার ৯৪৯ জন, কুতুবদিয়ায় ৮ হাজার ৫১৩ জন ও টেকনাফে ৭ হাজার ৮৬০ জন জেলে পরিবার।

জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুর্নবাসন শাখার উচ্চমান সহকারী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, মন্ত্রনালয় থেকে ইতোমধ্যে খাদ্যশস্য হিসেবে ভিজিএফ চালগুলোর বরাদ্দ পৌছেছে। বিতরণের জন্য শিগগিরই স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৌছে দেওয়া হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার বলেন- শুধু নিবন্ধিত জেলে নয়, সবাইকে সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণের (চাল ও অন্যান্য সামগ্রি) ২৫ শতাংশ স্থানীয় জনগোষ্ঠিকে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। ওই ২৫ শতাংশ ত্রাণ আপাতত জেলার সব জেলে পরিবারের মাঝে বিতরণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই বিতরণ শুরু হবে। প্রত্যেক জেলের কাছে সহায়তা পৌছানো হবে। ইতোমধ্যে কুতুবদিয়া ও মহেশখালীতে প্রায় ৪ হাজার পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়।

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।  

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com