গত ২৭/০৬/২০২০ইং বিকাল অনুমান ১৬.০০/১৬.৩০ ঘটিকার সময় অপহরণ চক্রের সদস্য জনৈক লুৎফা বেগম (৩২), স্বামী-বাচ্চু মিয়া, পিতা-আবু তাহের, সাং-রাজঘর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মোবাইল ফোনে আলাপচারিতায় সখ্যতা সৃষ্টির মাধ্যমে ভিকটিম ১। মোঃ সোহেল মিয়া (২৪), পিতা-আবুল কাশেম, ২। কুতুব মিয়া(২৮), পিতা-আরিস ঠাকুর, উভয়সাং-ইসলামাবাদ, থানা-সরাইল, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াদ্বয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানাধীন কাউতলীস্থ (হ্যালো ব্যাকারীর গলি) জনৈক আজমল হোসেন ভূইয়ার ৪র্থ তলার ভাড়াটিয়া শাহ আলমপ্রকাশ পলাশ (৪০), পিতা-শফিকুর রহমান, সাং-শিকারপুর, থানা-কসবা, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর বাসায় আসে। ভিকটিমদ্বয়কে কৌশলে বাসায় আনিয়া উক্ত বাসায় থাকায় পলি (২৮), পিতা-আবন আলী, সাং-ভাদুঘর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ ভাড়াটিয়া শাহ আলম প্রকাশ পলাশ তার স্ত্রী আইরিন আক্তার এবং তাদের সহযোগী ১। আসাদুজ্জামান মিশাল (২৮), পিতা-মৃত কামাল উদ্দিন, সাং-দাতিয়ারা, ২। মামুন (২৩), পিতা-নুরুল ইসলাম, সাং-বান্ডুসার, থানা-নবীনগর, এ/পি-দক্ষিণ মৌড়াইল, ৩। জাবেদ (৩৪), পিতা-খায়ের মিয়া, সাং-কাজীপাড়া, দরগামহল্লা, ৪। মোজাম্মেল (২৫), পিতা-মৃত সিরাজ মিয়া, সাং-রাজঘর, সর্বথানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াগন উক্ত ভিকটিম সোহেল এবং কুতুব মিয়াকে আটক করে হাত ও চোখ বেঁধে ফেলে। উক্ত অপহরণকারী চক্র অভিনব কায়দায় ভিকটিমদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করিয়া মুক্তিপণ বাবদ মোটা অংকের অর্থ দাবী করতে থাকে।
এ ঘটনায় অপরহৃতদের পরিবারের লোকজন সরাইল থানায় অভিযোগ করলে অদ্য ২৮/০৬/২০২০খ্রিঃ তারিখ গভীর রাতে জনাব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার জনাব মোঃ সফিকুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), সরাইল থানা এবং জনাব মোঃ ইশতিয়াক আহম্মদ সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স) নিয়ে অভিযান পরিচালনা করিয়া মুক্তিপন আদায়কারী সংঘবদ্ধ অপহরণ চক্রের সদস্য লুৎফা বেগম, পলি,আইরিন আক্তার, শাহ আলম প্রকাশ পলাশ, আসাদুজ্জামান মিশাল, মামুন, জাবেদ,মোজাম্মেলগণকে গ্রেফতার এবং অপহৃত ভিকটিমদ্বয়কে উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারী সদস্যরা স্বীকার করেন যে, ভিকটিম সোহেলের নিকট থেকে অপহরণ চক্রের সদস্য আসাদুজ্জামান মিশাল নগদ ৫,০০০/-টাকা নেয় এবং চক্রের সদস্য জাবেদ বিকাশের মাধ্যমে আরো ৫,০০০/-টাকা নেয়। ভিকটিম কুতুব উদ্দিনের নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে জাবেদ ১০,০০০/-টাকা নেয়।
সংঘবদ্ধ অপহরণ চক্রের সদস্য লুৎফা বেগম, পলি, আইরিন আক্তার, শাহ আলম প্রকাশ পলাশ, আসাদুজ্জামান মিশাল, মামুন, জাবেদ, মোজাম্মেলগণ সংঘবদ্ধভাগে নারীর সাথে যৌন মিলনেরর টোপ দিয়ে ফাঁদে ফেলিয়া বিভিন্ন সময়ে সাধারণ লোকজনকে আটক করতঃ মোটা অংকের অর্থ আদায় করিয়া আসিতেছে মর্মে জানা যায়।
মুক্তিপন আদায়কারী উক্ত চক্রের বর্ণিত ০৮ সদস্যকে হাতেনাতে গ্রেফতার এবং তাদের কবল হতে ভিকটিমদ্বয়কে উদ্ধার সংক্রান্তে মামলা দায়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
Leave a Reply