সংবাদ শিরোনাম
কমলগঞ্জ পৌরসভায় জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত কমলগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় মা নিহত ও শিশু সন্তান আহত জান্নাতের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ।। ধর্ষক গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অবসরপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার মতিউর রহমানের ইন্তেকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের মর্যাদাহানিকর সংবাদ প্রকাশের দায়ে সাংবাদিক সৈয়দ রিয়াজ আহমেদ অপুর সদস্যপদ স্থগিত,কারণ দর্শানোর নোটিশ “ভিকারুণ নিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ”।। কে এই “ভিকারুন নেসা নুন” ? প্রিয়তমা’ র পরিচালক হিমেল আশরাফের নতুন সিনেমা “রাজকুমার” এর শুটিং শুরু অক্টোবরে সর্বজনীন পেনশন স্কীম বর্তমান সরকারের একটি সর্বোত্তম কাজ; ডিসি শাহগীর আলম নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলায় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত র‍্যাব: র‍্যাব মহাপরিচালক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শ্রেষ্ঠ ওসির স্বীকৃতি পেলেন রাজু আহমেদ

নাসিরনগরে লাইজু হত্যাকান্ড; অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকায় হত্যা করে ডোবায় ফেলে দেন বাবা ও মামা

নাসিরনগরে লাইজু হত্যাকান্ড; অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকায় হত্যা করে ডোবায় ফেলে দেন বাবা ও মামা

স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের লাইজুর আক্তার হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় বাবা সনু মিয়া ও মামা মোঃ মাজু মিয়া লাইজু আক্তারকে হত্যা করে ডুবাই ফেলে আসেন। গত ২৩ জুন নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নের লম্বাহাটি গ্রামের লাইজু আক্তার হত্যা ঘটনায় মা সাফিয়া আক্তারের দায়েরকৃত এফ আই আর এর ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনায় জড়িত লাইজুর বাবা ও মামাকে আটকের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেন লাইজুর বাবা সনু মিয়া ও মামা মোঃ মাজু মিয়া।  
পুলিশ জানায়, মোছাঃ লাইজু আক্তার (১৫) গত ২৩ জুন দিবাগত রাত ৯টায় নানী সাহেদা বেগমের সাথে মামা মোঃ মাজু মিয়ার বসত ঘরে ঘুমাতে যায়। রাত অনুমান সাড়ে ১১টায় সাহেদা বেগমের ঘুম ভেঙ্গে গেলে লাইজু আক্তারকে বিছানায় না পেয়ে ঘরের আলো (লাইট) জ্বাালিয়ে দেখে ঘরের দরজা খোলা, ঘরের ভিতর কোথাও সে নেই। সাহেদা বেগম মাজু মিয়াসহ অন্যান্যদের নিয়ে তাৎক্ষণিক বাড়ির চারপার্শ্বে এবং পরদিন ২৪ জুন পার্শ্ববর্তী বাড়ি ও আত্মীয়দের বাড়িতে খুঁজে কোথাও লাইজুর সন্ধান পায়নি। গত ২৭ জুন ভোরে লোকমুখে শুনতে পায় বাড়ির পশ্চিম দিকে কচুরিপানা ভর্তি ডোবার ধারে একটি অজ্ঞাতনামা মেয়ের গলিত লাশ পড়ে আছে। সাফিয়া আক্তারসহ অনেক লোক সেখানে যেয়ে পড়নের জামা, পায়জামা, গলায় প্যাঁচানো ওড়না দেখে ওটি লাইজু আক্তারের লাশ বলে সনাক্ত করে নাসিরনগর থানায় সংবাদ জানালে পুলিশ জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার এর নির্দেশে পঁচন ধরা গলিত শরীরে পোকা ধরা অবস্থায় নিহত লাইজু আক্তারের লাশ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেন মরদেহটি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেনসহ পুলিশদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাদিনী, এলাকার লোকজনদের সাথে আলোচনা পর্যালোচনা করে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৮ জুন রাত ১০টায় নিহত লাইজুর মামা মোঃ মাজু মিয়াকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যা ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পায়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে মেয়ে হত্যায় জড়িত পিতা সনু মিয়াকে ২৯ জুন রাত সোয়া ১২ টায় আটক করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মাজু মিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার বলেন, তার ভাগ্নি লাইজু আক্তার তার ঘরে তার মায়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই খাটে ঘুমাতো। লাইজুর স্বভাব চরিত্র ভালো নয়। বিয়ে ছাড়াই বিভিন্ন ছেলেদের সাথে বিভিন্ন স্থানে শারীরিক মেলামেশা করতো। পিতা মাতা সহ পরিবারের কারো কথা তোয়াক্কা করত না। গত ২২জুন রাত অনুমান ৮টায় মাজু মিয়া তার বসত ঘরের পেছনে পাটক্ষেতে লাইজু আক্তারকে পর পুরুষের সাথে অবৈধ কাজ করতে দেখে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক মাজু মিয়া বাদিনী তথা তার বোন সাফিয়া আক্তার ও বোনের জামাই সনু মিয়াকে অবগত করে। এতে সনু মিয়া ও মাজু মিয়া লাইজুর উপর বেশ ক্ষিপ্ত হয়। পরদিন গত ২৩ জুন সকাল ১০টায় মাজু মিয়ার ঘরে মাজু মিয়া ও সনু মিয়া লাইজু আক্তারের এহেন অবৈধ কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে লাইজু আক্তারকে (১৫) হত্যা করার পরিকল্পনা করে। মাজু মিয়া স্বীরোক্তিতে জানায়, পরিকল্পনা মতে গত ২৩ জুন রাত অনুমান সাড়ে ৯টা হতে সাড়ে ১০টার মধ্যে সনু মিয়া তার মেয়ে লাইজু আক্তারকে মামা মাজু মিয়ার ঘর হতে ডেকে বের করে। মাজু মিয়া ও সনু মিয়া লাইজু আক্তারকে কৌশলে তার বসত ঘরের পশ্চিম দিকে ভিটে বাড়ি খালি জায়গায় নিয়ে যায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই পিতা সনু মিয়া নির্জন অবস্থায় অন্ধকারে লাইজু আক্তারকে তার ওড়না দিয়ে গলায় প্যাঁচিয়ে ধরে এবং মাজু মিয়া লাইজুর হাত পা চেপে ধরে। এতে লাইজু আক্তার মারা যায়। এ ঘটনার প্রায় ৫-৭ মিনিট পরে আসামী মোঃ আদম আলী সেখানে উপস্থিত হয় । লাইজু মারা গেলে উক্ত ৩ জন লাইজু আক্তার এর লাশ ধরাধরি করে পাশের কচুরিপানার ডোবায় রাত অনুমান সাড়ে ১০টা হতে ১১টার মধ্যে ফেলে দেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন লাইজু হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা বাবা সনু মিয়া ও মামা মোঃ মাজু মিয়া স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।       
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।    

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com