স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষে সমবেত প্রার্থনা, আলোচনা সভা ও মহাপ্রসাদ বিতরণী অনুষ্ঠান গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে হিন্দু ধমর্ীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার। হিন্দু ধমর্ীয় কল্যাণ ট্রাস্ট জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা পিংকি রায়ের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এড. মিন্টু ভৌমিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পরিমল রায়, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা খোকনকান্তি আচার্য্য। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হিন্দু ধমর্ীয় কল্যাণ ট্রাস্টের অনিত্য সাহা। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমী। শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন পরোপকারী, প্রেমিক, রাজনীতিক ও সমাজসংস্কারক। সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল দর্শন। বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে সাম্পদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ দেশের হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের জনসাধারণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে। বর্তমান সরকার অসম্প্রাদায়িক দেশ গড়ার প্রত্যেয়ে কাজ করছে।ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply