সংবাদ শিরোনাম
বাঞ্ছারামপুরে ভাইবোন হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।। হত্যাকান্ডের পর লাপাত্তা মামা

বাঞ্ছারামপুরে ভাইবোন হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।। হত্যাকান্ডের পর লাপাত্তা মামা

স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে কামরুল ইসলাম (১০) ও শিফা আক্তার (১৪) নামে দুই ভাই-বোনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের পর থেকে লাপাত্তা রয়েছে নিহতদের মামা বাদল মিয়া।কামরুল ও শিফার মামা বাদল মিয়া তার গ্রামের বাড়ির একটি মামলার আসামি হিসেবে পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে বাঞ্ছারামপুরে বোনের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। তবে ভাগিনা-ভাগনী হত্যাকান্ডের পর থেকে বাদল মিয়াকে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছেনা। এ নিয়েও রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে।
জানা যায়, গত সোমবার (২৪ আগস্ট) বিকেল ৩ টার পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সলিমাবাদ গ্রামের সৌদি প্রবাসী কামাল উদ্দিনের ছেলে কামরুল ইসলামকে প্রথেম খোঁজে পাচ্ছিলোনা তার পরিবার। সন্তানের খোঁজে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করেন কামাল উদ্দিন। পরে নিখোঁজের বিষয়টি থানা পুলিশকেও অবগত করেন কামাল উদ্দিন। ছেলে কামরুলকে খুঁজাখুঁজির সময় মেয়ে শিফা আক্তার পরিবারের সদস্যদের সাথেই ছিলেন। তখনও পরিবারের লোকজন কামরুলকেই খুঁজচ্ছিলেন। পরে রাত সাড়ে ৯ টায় বাড়ির আলাদা দুটি কক্ষের খাটের নিচে কামরুল ও শিফার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। সন্তানদের গলাকাটা লাশ দেখে তাদের বাবা মা সহ পরিবারপরিজন ও প্রতিবেশীদের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে। এ দৃশ্য দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তাদের বাবা মা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে খাটের নিচ থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান।
আজ মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে হাসপাতাল মর্গে মরদেহের সাথে আসা নিহত কামরুল ও শিফার বোনের দেবর মোঃ আসিফের সাথে দেখা হয় এ প্রতিবেদকের। এসময় কথা হয় আসিফের সাথে। আসিফ এ প্রতিবেদককে জানান, সোমবার বিকেল থেকে কামরুল নিখোঁজ ছিলেন। কামরুলকে খোঁজাখুঁজির সময় নিহত শিফা আক্তারও পরিবারের সদস্যদের সাথে ছিলো। কিন্তু রাতে তাদের বাড়ির আলাদা দুটি কক্ষের খাটের নিচ থেকে দুজনের জবাই করা লাশ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। তিনি জানান, কামরুল ও শিফার মামা বাদল মিয়া ব্যতীত বাড়িতে বাহিরের কোন লোকজন ছিলো না। কিন্তু হত্যাকান্ডের পর থেকে বাদল মিয়াকেও বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছেনা।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ  (তদন্ত) রাজু আহমেদ জানান, কামরুল ও শিফাকে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন খুনিরা। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। তবে কেন ও কি কারণে তাদের হত্যা করা হয়েছে তার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, খুব দ্রুতই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারবো ইনশাল্লাহ।  
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com