স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারভেজ খান নামে এক যুবকের ঘটনায় অবশেষে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত পারভেজ জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের গংগাসাগর এলাকার জাংগাল গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে। তবে তারা ব্রাহ্মবাড়িয়া পৌর শহরের খৈয়াসার এলাকার বাবুল মিয়ার বাড়ির (২০৬/১) বাসায় ভাড়া থাকতেন।
গতকাল (০৮ নভেম্বর) সকালে ব্রাহ্মবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন নিহত পারভেজ খান এর মা জরিনা খাতুন। মামলা নং- পি ৮৭৬/২০।
পরে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে সুরতহাল, ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট সংগ্রহ করে সবিস্তারে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ নভেম্বর ২০২০ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে ৯ টার সময় ব্রাহ্মবাড়িয়া জেলা শহরের খৈয়াসার বালুর মাঠে DjParvez Khan নামে এক যুবক তার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে পৌর শহরের খৈয়াসার এলাকার কালু মিয়া (৫২) পিতা মৃত অজ্ঞাত, জীবন মিয়া (৩৩) পিতা কালু মিয়া, সাথি আক্তার (২৮) পিতা কালু মিয়া, রওশেনা বেগম (৪৭) স্বামী কালু মিয়া, ইদন মিয়া (৪৮) পিতা মৃত আব্দুর রশিদ এর অন্যায় অত্যাচার ও অমানসিক নির্যাতনের কারণে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক জাতীয় বিষাক্ত ঔষুধ খেয়ে নিজেকে শেষ করার কথা বলে বিষ পান করেন। মূহুর্তেই বিষের মরণ যন্ত্রণায় ছটফট করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পারভেজ। ফেসবুকের লাইভ ভিডিওটি ফেসবুকে দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়লে ঘটনাটি পারভেজের মামা নজরুল ইসলাম ও চাচা মোঃ আবুল কাশেম মেম্বারের নজরে আসলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পারভেজকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনায় নিহত পারভেজের মা জরিনা খাতুন বাদী হয়ে ছেলের ফেসবুক লাইভে উল্লেখিত ব্যক্তিদের নাম সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সারওয়ার আলম এর আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-পি ৮৭৬/২০, ধারা ৩০২/৩৪ দণ্ড বিধি।
মামলার আসামীরা হলেন- কালু মিয়া, পিতা- অজ্ঞাত, জীবন মিয়া, পিতা- কালু মিয়া, সাথি আক্তার, পিতা- কালু মিয়া, রওশেনা বেগম, স্বামী – কালু মিয়া ও ইদন মিয়া, পিতা -মৃত আব্দুর রশিদ। সর্বসাং- খৈয়াসার, সদর ব্রাহ্মবাড়িয়া।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ ভুইয়া বাদল জানান, এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আরো ৩/৪ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্শেদ দিয়েছেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply