সংবাদ শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন কমলগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠালো ভারত কমলগঞ্জে স্কুল শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যা; গ্রেফতার-৪; পলাতক ঘাতক সাগরকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি এলাকাবাসীর কমলগঞ্জে পতিত রোপা আমন শস্য বিন্যাসে ব্রির মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশ জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের: কমলগঞ্জে শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যা।। আটক-৩ এ দেশে সব নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে- জামায়াতে আমীর ডা: শফিকুর রহমান কমলগঞ্জে তিনদিন ব্যাপী ভূমি মেলা শুরু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু একাডেমির উদ্যোগে কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনায় দুই ডাকাত গ্রেপ্তার কমলগঞ্জে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
নাসিরনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও শয্যা সংকটে ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা

নাসিরনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও শয্যা সংকটে ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা

মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর প্রতিনিধি 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও শয্যা সংকটে মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জন চিকিৎসকের বিপরীতে আছে মাত্র ৮ জন। গাইনি, সার্জারি, ডেন্টাল সার্জন, অর্থপেডিক্স, মেডিসিন, এনেসথেসিয়াসহ ১১টি গুরুত্বপূর্ণ পদে চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নাসিরনগর সহ পাশের কয়েকটি উপজেলা থেকে আসা সাধারণ মানুষ।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিনের মত চিকিৎসকদের কক্ষের সামনে লম্বা লাইন। এসময় এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় ডাঃ সোয়েব শাহারিয়া, ডাঃ সাইফুল ইসলাম, ডাঃ তানভীর আনসারী সহ কযেকজন চিকিৎসকের সঙ্গে। তারা জানান, প্রতিদিন কমপক্ষে প্রায় ৫০০ রোগী এ হাসপাতাল সেবা নিতে আসে। এতো মানুষকে সেবা দিতে তাদের কিছুটা সমস্যা হয় বলেও জানান চিকিৎসকরা। তারপরও আগত রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে চেষ্টা করছেন তারা। গাইনি চিকিৎসক না থাকায় মহিলা রোগীরা অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার এনেসথেসিয়া পদটি দীর্ঘকাল ধরে শূন্য রয়েছে। অ্যানেসথেসিস্ট না থাকায় এখানে কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার হয় না। গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে জটিল রোগে আক্রান্ত নারীদের বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে।
তাছাড়াও হাসপাতালটিতে ৫০ টি শয্যা থাকলে ও প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ৯০ জন রোগীকে ভর্তি দিতে হচ্ছে। শয্যা সংকটের কারনে পর্যাপ্ত সীট না থাকায় এই শীতের মাঝেও রোগীদের নীচে ফ্লোরে শুয়ে শুয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ রায় বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে হাসপাতালের সেবার মান অনেক উন্নতি করেছি। এ ব্যাপারে আমাকে স্থানীয় এমপিসহ আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অনেক সহযোগিতা করেছে। শয্যা ও চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা। তবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদ খালি থাকায় চিকিৎসা দিতে আমাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এনেসথেসিয়ার অভাবে কোনো ধরনের অপারেশন করতে পারছি না।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় ব্রাহ্মণাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহর সাথে। তিনি বলেন, জনবল শূন্যতার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসক শূন্যতা কাটিয়ে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর। 

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com