স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী গ্রামে সৌদি আরব প্রবাসী মোঃ রফিকুল ইসলামের ‘ড্রিম হাউজ’ নামে বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় দিদার-(৩০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত দিদার প্রবাসী রফিকুল ইসলামের চাচাতো শ্যালক ও কাউতলী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। গত সোমবার ভোর রাতে কাউতলী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত দিদারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জাহিদ হাসানের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে, এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দুপুর ২টা থেকে বিকেল পৌনে চারটা পর্যন্ত কাউতলী গ্রামের নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়াম সংলগ্ন সৌদি আরব প্রবাসী মোঃ রফিকুল ইসলামের ‘ড্রিম হাউজ’ নামে বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ২২ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫০ হাজার টাকা, চার লাখ টাকা মূল্যের একটি হাতঘড়ি নিয়ে যায়। দিন দুপুরে জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনায় আতঙ্ক দেখা দেয়।
পুলিশ জানায়, ডাকাতির সময় ব্যাটারি দিয়ে ‘সহায়তা করা’ এক শিশুর দেয়া জবানবন্দির সূত্র ধরে পুলিশ সোমবার ভোরে দিদারকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রবাসী মোঃ রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া খানম জানান, তিনি পরিবার নিয়ে ছয়তলা বিশিষ্ট ওই বাড়ির তিনতলায় বসবাস করেন।
ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে ফাইল নিয়ে দুইজন এসে দরজার নক করেন। তিনি দরজা খুলে দিলে ওই দু’জন বলেন তারা গ্যাসের লাইন চেক করতে এসেছেন। এক পর্যায়ে আরো ছয়জন ঘরে প্রবেশ করে সবাইকে একটি কক্ষে নিয়ে জিম্মি করে ফেলেন। ঘরে প্রবেশ করা আটজনের হাতেই ছিলো ধারালো অস্ত্র। এক পর্যায়ে ‘ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে ডাকাতরা ছেলে মেয়েকে হত্যা করে ফেলবে হুমকি দিয়ে সবকিছু দিয়ে দিতে বলেন। স্বর্ণের লকার খুলতে না পারায় বারবার হত্যার হুমকি দিতে থাকে। এক পযার্য়ে তারা ফোন করে লকার খোলার রিমোট কন্ট্রোলের জন্য ব্যাটারি আনায়। তাদের ফোনে ছোট একটি ছেলে ব্যাটারি দিয়ে যায়। এরপর পিনকোড দিয়ে লকার খোলার পর সেখান থেকে তারা ২২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
এছাড়া আলমীরা থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও একটি রোলেক্স ঘড়ি নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ ইসতিয়াক আহমেদ জানান, প্রযুক্তির সহায়তার নিয়ে ব্যাটারি নিয়ে আসা শিশুটিকে সনাক্ত করা হয়। ওই দিদারের কাউতলী গ্রামে থাকা দোকানের কর্মচারি। ডাকাতিকালে ডাকাতরা দিদারের কাছে ফোন করে। পরে দিদার ব্যাটারি দিয়ে শিশুটিকে ওই বাড়িতে পাঠায়। তিনি বলেন, দিদার ওই বাড়িতে নিয়মিত যাওয়া-আসার সুবাদে স্বর্ণালংকারের কথা জানতো। পরিকল্পনা মতো সে ‘ভাড়া করা’ লোক এনে চাচাতো বোনের বাড়িতে ডাকাতি করায়। রিমান্ডে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply