সংবাদ শিরোনাম
বিজয়নগরে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর উদ্যোগে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের নির্মাণ কাজ শুরু হবে; জাবেদ আহমেদ

বিজয়নগরে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর উদ্যোগে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের নির্মাণ কাজ শুরু হবে; জাবেদ আহমেদ

স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি 
মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে একটি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের তিনবারের সফল সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর উদ্যোগে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কালাছড়া চা বাগান এলাকায় পর্যটন কেন্দ্রের স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা জানান জাবেদ আহমেদ। 
পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ আরো বলেন- উক্ত অঞ্চলে ডার্ক ট্যুরিজমের পাশাপাশি রুরাল ট্যুরিজম বিকাশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এ এলাকায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য বঙ্গবন্ধু কর্ণার, মহান মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল, দর্শনার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার, ক্যাফেটোরিয়া ও শৌচাগারসহ পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। 

কালাছড়া চা বাগানে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের জায়গা পরিদর্শন করছেন উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ।

মুক্তিযুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এ উপজেলায় ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন বিভিন্ন সময়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সাথে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। যেখানে মুক্তিযুদ্ধের অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে। এখানে রয়েছে সম্মুখ যুদ্ধক্ষেত্রসহ বর্বর পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক নৃশংসভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরীহ মানুষকে হত্যার স্মৃতি বহনকারী অসংখ্য গণকবর। এসকল ঘটনাবহুল ইতিহাস এবং স্থান দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট করে, যা ডার্ক ট্যুরিজম নামে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। 

বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কালাছড়া হরিহর টি এস্টেট সংলগ্ন এলাকাটি মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এমনই একটি অঞ্চল যা ডার্ক ট্যুরিজম এর অন্যতম হিসাবে পরিণত হতে পারে। ডার্ক ট্যুরিজমের সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করেই এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন’র নির্দেশনায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে.এম. ইয়াসির আরাফাত এর তত্বাবধানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণ এর সহযোগিতায় এ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।

পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ

এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার অভাবনীয় উন্নয়নের রূপকার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) কে.এম. ইয়াসির আরাফাত, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মাহবুবুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহীনুর জাহান, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জামাল উদ্দিন ভুইয়া, চম্পকনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামিদুল হক হামদু, সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল, পত্তন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান রতন সহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ। 
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর। 

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com