স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ বলেছেন, বার বার কেন রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির উপর আক্রমণ হচ্ছে? এর কারণ কি? হামলাকারীদের অবস্থান কি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে?
বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে হেফাজতের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা পরিদর্শন শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি ড. বেনজির আহমেদ আরো বলেন, পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৭৪ টি মাদ্রাসা রয়েছে। মাদ্রাসাগুলোতে ১ লাখ ৩ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। যাদের প্রত্যেকের পেছনে দৈনিক ১শত টাকা করে খরচ হয়। যা প্রতি বছর ৩৫০ কোটি টাকা। দ্বীনের খেদমতের জন্য এ টাকা গুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষই দিচ্ছেন। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তারা কি দ্বীনের খেদমত করছেন সেটিও আপনারা খেয়াল রাখবেন।
চট্রগ্রামের হাটহাজারি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে পুলিশের এ শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় প্রতি বছরই দেখছি এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটছে। বার বার রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে। তাহলে তাদের অবস্থানটা কি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে? তিনি বলেন, দেশের ১৮ কোটি নাগরিক ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর সাথে আছে। আমরা এক সঙ্গে সকল ভয়কে জয় করতে পারবো। কিন্তু কোন বিশেষ গোষ্ঠী কোন একটি এলাকাকে উপদ্রুত এলাকা হিসেবে পরিণত করবে- তা হতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল নাগরিকরা নিরাপদে বসবাসের অধিকার রয়েছে। এ অধিকার আমরা নিশ্চিত করবো ইনশাল্লাহ।
বেনজির আহমেদ আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহিংসতার ঘটনায় যাদের কাছে ছবি ও ভিডিও ফুটেজ আছে, আপনারা পুলিশকে দেবেন। এসব বিষয়ে আপনারা মামলা করবেন, আমরা ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা বোনের সম্ব্রমের বিনিময়ে আমরা যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি এবং গত ৫০ বছরে আমাদের যে অর্জন তা কোনভাবেই কোন সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে নষ্ট করতে দেবো না।
আইজিপি আরো বলেন, যারা ধর্ম ব্যবসায়ী তাদের দু’রকম চরিত্র। এক তারা ওয়াজ করেন ও লাঠি নিয়ে মিছিলও করেন। এখনই সময় -কারা প্রকৃত ধার্মিক লোক ও কারা ধর্ম ব্যবসায়ী তাদের চিহ্নিত করা। সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, অধৈর্য্যে হওয়ার কোন কারন নাই। যারাই তাণ্ডবের সাথে জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বিশেষ হেলিকপ্টার যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ। পরে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৬,২৭ ও ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, এসবির প্রধান মনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, পুলিশের ডিআইজি (অপারেশন) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply