সংবাদ শিরোনাম
রেল যাতায়াত, যানজট ও লোডশেডিং সমস্যা সমাধানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কক্সবাজারে লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ৬ জন আটক গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের খসড়া তালিকায় ৭০৮ জন সিডস ফর দ্য ফিউচারের আঞ্চলিক পর্বে অংশ নিতে চীনে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা সরাইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।। আহত-৫০ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু রাঙামাটিতে পর্যটন ভ্রমণে তিন দিনের নিষেধাজ্ঞা ইবির সাবেক শিক্ষক ড. নকীব নসরুল্লাহ হলেন ইবির নতুন উপাচার্য নবীনগরে গলায় ফাঁস দিয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুয়া সাংবাদিক ও অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে কমিটি গঠন।। আহ্বায়ক আরজু ও সদস্য সচিব আল আমিন শাহীন
পাহাড়ে ঝুুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং

পাহাড়ে ঝুুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং

সদর উপজেলা (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজার জেলায় পাহাড়ে ঝুুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। ভারী বর্ষনে পাহাড় ধসের ঝুঁকির আশংকা থেকে গতকাল দিনভর কক্সবাজার জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাইকিং করে লোকজনকে সতর্ক করা হয়ছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার মোকতার বলেন, ‘পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত জনসাধারণ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী, লাইট হাউস পাড়া, ঘোনা পাড়া, বাদশা ঘোনা , কবর স্হান পাড়া, সাহিত্যিকা পল্লী সহ বিভিন্ন  এলাকায় দিনভর মাইকিং করা হয়েছে। মাইকিংয়ের পরও যারা সরবে না তাদের সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।’
স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলছেন, শুধুমাত্র কক্সবাজার শহরেই পাহাড়ে চূড়ায় এবং পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে ৯শত পরিবার, যায় মধ্যে ৩০ হাজারের ও বেশি মানুষ রয়েছে ।
এছাড়াও কক্সবাজার  জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাস করছে ৩ লক্ষাধিক মানুষ। ইতোপূর্বে জেলায় পাহাড় ধসে বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তবুও পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসের প্রবনতা কমেনি।
টেকনাফ বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত  রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন,  ইতিমধ্যে ১০০ টি পরিবারকে পাহাড়ের ঝুকিঁর্পূণ এলাকা হতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সাগরে নিম্ন চাপের সংকেত ও অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধ্বসের আশংকা থাকায় মাইকিং করা হয়েছে। যাতে পাহাড়ে ঝুকিঁপূর্ণ অবস্থায় যে সব পরিবার রয়েছে তারা সরে আসে। তা না হলে ফের উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।

টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রবিউল হাসান বলেন, ‘এখন বর্ষাকাল তার উপর টানা বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা পুরো উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে অন্যত্রে সরে যেতে মাইকিং করে নির্দেশ দিয়েছি । নিরাপদ সহানে না সরলে প্রশাসন তাদের বাধ্য করবে অন্যত্র সরাতে, যেহেতু এখানে মানুষের জীবন জড়িত।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন  বলেন, ‘ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের আশংকা থাকায় লোকজনকে সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ নিরাপদ স্থানে সরে না যায়, ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে অবস্থান করে জেলা প্রশাসন তাদের বাধ্য হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেবে। 
ইতোপূর্বে কক্সবাজার পৌরসভায় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসরত বেশকিছু পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের নিরাপদে রাখার জন্য প্রতিটি এলাকায় একটি  করে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, বৈরী আবহাওয়ার কারনে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আগামী ২/৩ দিন ভারী বর্ষন অব্যাহত থাকতে পারে।

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com