সংবাদ শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মর্মান্তিক মৃত্যু কসবায় মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে দুই ভাইয়ের করুণ মৃত্যু নাসিরনগর বিআরডিবি‘র চেয়ারম্যান আমিরুল হোসেন চকদার ও ভাইস চেয়ারম্যান আকতার হোসেন ভূইয়া নির্বাচিত কমলগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ৬ দোকান পুড়ে ছাই সীমান্ত অপরাধ, চোরাচালান ও মাদক পাচার প্রতিরোধে কমলগঞ্জে বিজিবির জনসচেতনতামূলক সভা ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে কমলগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি।। হাজারো মানুষের ঢল কমলগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ হয়ে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীর মৃত্যু শুভ নববর্ষ, বাঙালি সংস্কৃতি ও বাস্তবতা কমলগঞ্জে শিক্ষার্থীদের জন্য ফার্স্ট এইড ও স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত
আবারো হঠাৎ তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, তিস্তা পাড়ে আতঙ্ক

আবারো হঠাৎ তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, তিস্তা পাড়ে আতঙ্ক

শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টা থেকে তিস্তা নদীর পানি নতুন করে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে বাঁধ ও সড়কের ভাঙা অংশ দিয়ে তিস্তার পানি সতী নদী হয়ে শহরে প্রবেশ করছে।
শুক্রবার রাতে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। শনিবার সকালে পানির চাপে হাতীবান্ধাহাট থেকে বড়খাতা বিডিআর গেট বাইপাস সড়ক ভেঙে তিস্তা নদীর পানি হাতীবান্ধা শহরসহ লোকালয়ে প্রবেশ করে। এতে জেলার ৫ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন। শনিবার বিকেল থেকে তিস্তা নদীর পানি কমতে থাকে। সোমবার সকালে পানি বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু সোমবার দুপুর থেকে আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা পাড়ের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ছুঁই ছুঁই দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ভারত গজল ডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পানির শো শো শব্দে তিস্তা পাড়ে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তিস্তা নদীর ভয়ঙ্কর রুপ আর গর্জনে পানিবন্দী লোকজনের চোখে ঘুম নেই।
তিস্তা ব্যরাজ দোয়ানী পানি উন্নয়ন বোর্ড’র নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, ভারত গজল ডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার দুপুর থেকে আবারও পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। আরও কি পরিমাণ পানি আসবে তা বলা যাচ্ছে না। পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের অধিকাংশ গেটই খুলে দেয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, আমি বন্যা এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখছি। যেখানে যেভাবে প্রয়োজন সেই ভাবেই সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com