ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় বিজয়নগরে “নদীপাড়ের মাটি কাটার প্রতিবাদ করায় সংখ্যালঘুদের হুমকি মাটি খেকোদের ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রভাবশালীরা হুমকি-ধামকি প্রদান করে ভয় ভীতি প্রদর্শনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে গ্রামগুলোর বেশ কিছু হিন্দু সংখ্যালঘুর নারী পুরুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, নদীর খননের মাটি সরকারি মাটি ও মাটি কে বা কাহার্ কি প্রয়োজনে কোথায় নিল সেটা নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। এই বিষয়ে তারা কোন প্রতিবাদ করেননি। তাদেরকে কেউ হুমকি-ধামকি প্রদানও করেনি।
বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের জগৎপুর, মানিকপুর গ্রামে ৯ এপ্রিল দুপুর ১২ থেকে ২ টা পর্যন্ত বিভিন্ন মহল্লায় ঘুরে শিরিষ পাল, নিতিষ পাল, শিবু পাল, সন্তুষ পাল, অনিল পাল, বাদল পাল, অর্জুন পাল,নির্মল পাল, ডাঃ মনিন্দ্র দাস,হরিমন দাস,নিশু দাস প্রমুখ এর সাথে প্রতিবেদক এর আলাপে এই বক্তব্য পাওয়া যায়।
এসময় বিজয়নগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চৌধুরীর নেতৃত্বে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উক্ত সংবাদের সত্যতা খুঁজতে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ঘুরতে দেখা যায়।
পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চৌধুরী এ প্রতিবেদককে জানান, কিছু দুষ্ট লোক আছে যারা সবসময়ই তাদের সুবিধা-অসুবিধা প্রয়োজনে হিন্দু সম্প্রদায়কে গুটি হিসেবে ব্যবহার করে অপরাজনীতিতে নিজেদের অসৎ ফায়দা লোটার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় পত্রিকায় একটি সংবাদের সত্যতা খুঁজতে এসে জানতে পারলাম উপজেলার জগৎপুর মানিকপুর গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারগুলো শান্তি-শৃঙ্খলার সাথে অতীতের ন্যায় বসবাস করে যাচ্ছে। তাদের সাথে গত কয়েকদিনের মধ্যে কোনো সাংবাদিক যোগাযোগ করেনি বলে আমাদের নিশ্চিত করেছে।কাল্পনিক মনগড়া সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে নিজের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করার জন্য শান্ত সমাজকে অশান্ত করায় হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply