স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় ইশতিয়াক আহমেদ ইকরাম-(২২) নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু অভিযোগ উঠেছে। নিহত ইশতিয়াক আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
শনিবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০টায় জেলা শহরের পুরাতন জেলরোড এলাকার আল খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ রাফিউল আলম ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের পরিবার। নিহত ইশতিয়াক সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের চান্দিয়ারা গ্রামের মৃত শহিদ মিয়ার ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯ টায় নাকের পলিপাস জনিত সমস্যা নিয়ে ইশতিয়াক আহমেদ শহরের পুরাতন জেলরোডস্থ আল খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাফিউল আলমের পরামর্শ নেন। পরে চিকিৎসক ইশতিয়াক আহমেদকে অপারেশনের পরামর্শ দেন। পরামর্শ অনুযায়ী আল খলিল হসপিটালে ভর্তি হন ইশতিয়াক আহমেদ। পরে বেলা আড়াইটার সময় অপারেশন রুমে নিয়ে যাওয়া হয় ইশতিয়াককে।
এদিকে শুক্রবার রাতে ইশতিয়াক আহমেদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তার পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইসিইউ হাসপাতালে নিয়ে যায় আল খলিল হসপিটাল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে আল খলিল হসপিটালের মালিক ও চিকিৎসকের সাথে ইশতিয়াকের স্বজনদের বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পরে আজ শনিবার সকাল ৭ টায় ইশতিয়াক এর পরিবারকে জানানো হয় সে মারা গেছেন। এ মৃত্যুর খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ইশতিয়াকের স্বজনরা ও বন্ধু প্রতিবেশীরা এসে আল খলিল হসপিটালের সামনে এসে বিক্ষোভ মিছিল ও হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। পরে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতালের মালিক , চিকিৎসকসহ এ ঘটনায় সম্পৃক্তদের বিচার দাবি ও আল খলিল হসপিটালের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ডাঃ রাফিউল আলম জানান,এ রোগীর অপারেশন তিনি করাননি। কে করেছেন সেটিও তিনি জানেন না। তবে হাসপাতালের চেয়ারম্যান খলিল বশির মানিক বলেন , অপারেশন করেছেন ডাঃ রাফিউল আলম।
এদিকে, এ ঘটনায় সদর মডেল থানা পুলিশ আল খলিল হসপিটালের চেয়ারম্যান খলিল বশির মানিকের ছোট ভাই এমদাদুল বশির জয় ,স্টাফ নাজমুল হক ও আরিফুল ইসলাম নামে তিনজনকে আটক করেছেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় আমরা তিনজনকে আটক করেছি। তিনি আরো বলেন, নিহত ইশতিয়াকের বড় ভাই বাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply