স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন করে এর মূলহোতা জহিরুল ইসলামকে-(২৫) গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। ঘাতক জহিরুল নিহত জেকি আক্তারের ভাগ্নি জামাই। হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার রাতেই নরসিংদীর মাধবদী থেকে তাকে গ্রেফতার করেন পুলিশ।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান , গ্রেপ্তারকৃত জহিরুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সৌম্যের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং।
জহিরুল তার জবানবন্দিতে জানান, বিয়ের পর থেকে তিনি পারিবারিকভাবে অশান্তিতে ছিলেন। শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে নানাভাবে চাপে রাখা হতো। আর শ্বশুর-শাশুড়ি তার খালা শাশুড়ির পরামর্শ মতো চলতেন। পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তির সহায়তা চাইতে গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার খালা শাশুড়ি জেকি আক্তারের বাসায় যান জহিরুল। স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিষয়ে বিরোধ নিয়ে আলোচনাকালে জেকি আক্তারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার। একপর্যায়ে বটি দিয়ে জেকির মাথার পেছনে ও ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যা করলে ঘুমিয়ে থাকা জেকির বড় ছেলে মাহিন (১৪) জেগে উঠে চিৎকার করলে তাকেও বটি দিয়ে কোপ দেন জহির। এসময় ছোট ছেলে মহিনের (৭) ঘুম ভেঙে গিয়ে জহিরুলকে দেখে ফেললে তাকেও হত্যার পর মরদেহ বাথরুমে ফেলে রাখেন। পরে রক্তাক্ত লুঙ্গি ব্যাগে নিয়ে পালিয়ে যান জহিরুল।
নিহত জেকি আক্তার ও তার দুই সন্তান।
উল্লেখ্য,গত মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চরছয়ানী গ্রামের সৌদি প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী ও দুই সন্তানের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply