স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল ও বিজিবির সরাইল-১২ ব্যাটালিয়ানের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এরশাদসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 
আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর-২০২৪) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ এর আদালতে গত ২০১৪ ইং সনের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন আব্দুল হাদিস-(৪২) নামের এক ব্যক্তির নিহতের ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে এটিকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করতে আখাউড়া থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করে আদেশ দেন। 
আখাউড়া পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি বাহার মিয়া বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। নিহত আবদুল হাদিস বাহার মিয়ার ছোট ভাই।
এদিকে এজাহারে উল্লেখিত অন্য আসামিরা হলেন- আখাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম ভূইয়া-(৬৮), তাকজিল খলিফা কাজলের আপন ভাই ফুরকান খলিফা-(৪৫), আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা জাহাঙ্গীর মিয়া-(৬০), জুয়েল খান-(৮৫), নাহিদ খান-(৩০) ও উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা নাছির মিয়া-(৫৫)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় আবুল কাশেম আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। নিহত হাদিস মিয়া ভোট কেন্দ্রের প্রায় ৩০০ গজ দূরে অবস্থান করছিলেন। ভোট কেন্দ্রের কাছাকাছি বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের অবস্থানের বিষয়টি মামলার আসামিরা সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফাকে মুঠোফোনে জানান। আনিসুল হক ও তাকজিল খলিফা কাজল সেসময় নিহত হাদিসসহ অন্যদের দেখামাত্রই গুলি করার জন্য বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এরশাদকে নির্দেশ দেন। বিজিবির তৎকালীন অধিনায়ক ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি রাইফেল নিয়ে গুলি করেন। বুকের ডান পাশে একটি গুলিবিদ্ধ হলে হাদিস ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে তাকে ২৫০ শয্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাদিছকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর বলেন, দ্রুত বিচার ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ধারাসহ হত্যার অভিযোগে এই এজাহার দায়ের করা হয়। আদালত এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য আখাউড়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।  
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।