সম্প্রতি বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চাল উৎপাদন কম হবে। তাই আমদানি করে দেশের বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানো না গেলে খাদ্যে ঘাটতির শঙ্কা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ পরিস্থিতিতে মজুত বাড়ানোর পাশাপাশি দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল আমদানিতে শুল্ক পুরোপুরি তুলে নিয়েছে সরকার।
প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। কাস্টমস আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৫৭ নং আইন) এর ধারা ২৫ এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শক্রমে জনস্বার্থে ওই আইনের প্রথম তপশিলভুক্ত পণ্যগুলোর মধ্যে সিদ্ধ চাল ও সিদ্ধ ছাড়া আতপ চাল আমদানির ক্ষেত্রে আরোপণীয় সমুদয় কাস্টমস শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে।
তবে এই প্রজ্ঞাপনের আওতায় রেয়াতি হারে চাল আমদানির আগে প্রত্যেক চালানের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা থেকে লিখিত অনুমোদন নিতে হবে।
গত এক মাসের ব্যবধানে খুচরায় প্রতি কেজি চালের দাম ৪ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। গরিব মানুষের খাদ্য ব্যয়ের একটি বড় অংশ যায় চালের পেছনে। নতুন করে চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সংসার সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
Leave a Reply