আদালত প্রতিবেদক//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় কালু মিয়া (২০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করে রায় ঘোষণা করেছেন বিজ্ঞ আদালত।
বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- সুজন মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও উজ্জ্বল মিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল -০৩ এর বিচারক হাসানুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কালু মিয়া বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের চাউরাখোলা গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।
দায়েরকৃত মামলার এজাহারে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১ জুন বিকেল সাড়ে ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের বোয়ালিয়া বিলে দ্বিতীয় শ্রেণী পড়ুয়া শিশুটি গরু আনতে যায়। এ সময় কালু মিয়া তার সহযোগীদের সহায়তায় ওই শিশুকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি চিৎকার করলে কালু মিয়াসহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুর চাচা মোঃ শাহ আলম বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন কালু মিয়াকে প্রধান আসামী করে বিজয়নগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজয়নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) জালাল উদ্দিন ভূইয়া মামলাটির দীর্ঘসময় তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে আদালত মামলার সাক্ষ্য শেষে প্রধান আসামী কালু মিয়াকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১) ধারায় দোষী সাবস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করেন। মামলার অপর তিন আসামী সুজন মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও উজ্জ্বল মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
দণ্ডাদেশ এর সত্যতা নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল বাশার বলেন, এই রায়ের মধ্যে দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মামলার আসামীপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান আমিনুর রেজা বলেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন।
ইনাম//সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply