সংবাদ শিরোনাম
কমলগঞ্জে উচ্চতর শিক্ষায় এককালীন বৃত্তি প্রদান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ টি আসনে পুরোনোরাই পেলেন আ’লীগের মনোনয়ন।। একটিতে রদবদল বিজয়নগরে কমলা চাষে সফল সাইপ্রাস প্রবাসী আলমগীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন সাবেক ছাত্রনেতা আরিফুর রহমান ৬ ইঞ্চি জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরধরে বিজয়নগরে ভাইয়ের ভাই খুন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা।। ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৩৮ জন গ্রেফতার ডিবি পরিচয়ে র‍্যাব সদস্যের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার কালনকে গ্রেফতার কমলগঞ্জে গুড নেইবারস্ সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড এর ৯ম বার্ষিক সাধারণ সভা কমলগঞ্জে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করলেন উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপি

কচুরিপানার কারনে ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদী মৃত্য প্রায়

কচুরিপানার কারনে ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদী মৃত্য প্রায়

আজাদ নাদভী,সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ইছামতি নদীর অংশ দীর্ঘদিন ধরে কচুরিপানায় ভরে আছে। হুমকির মুখে নদী। কচুরিপানার জঞ্জাল পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে মরে যাচ্ছে নদীটি। হুমকিতে পড়ছে জলজ জীববৈচিত্র। মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ায় জেলেদের জীবন-জীবিকাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীরা বলছেন, স্রােত কমে যাওয়ায় নদীটির বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নাব্যতা-সংকট। জেগেছে ছােট-বড় চর। এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নদীটি মরা খালে পরিণত হবে বলে তাঁদের আশঙ্কা। কচুরিপানা জমে নদীতে পানির স্রােত কম গেছে।
ধারণা করা হয় কচুরিপানার অর্কিড-সদেশ ফুলের সৌন্দর্যপ্রেমিক এক ব্রাজিলীয় পর্যটক ১৮শ’ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলায় কচুরিপানা নিয়ে আসেন। তারপর তা এত দ্রুত বাড়তে থাকে যে, ১৯২০ সালের মধ্যে বাংলার প্রায় প্রতিটি  নদ নদী ,খাল, বিল জলাশয় কচুরিপানায় ভরে যায়। 
এমন পরিস্থিতিতে সরকার কচুরিপানার দৌরাত্ম্য হ্রাসে বাংলার জলাভূমি আইন, বাংলার মিউনিসিপ্যালিটি আইন, বাংলার স্থানীয় সরকার আইন এবং বাংলার স্থানীয় গ্রাম সরকার আইন সংশােধন করে। ১৯৩৬ সালে কচুরিপানা আইন জারি করা হয়, যার মাধ্যমে বাড়ির আশপাশে কচুরিপানা রাখা নিষিদ্ধ ঘােষিত হয় এবং সরকারি পৃষ্ঠপােষকতায় পরিচালিত কচুরিপানা পরিষ্কার অভিযানে অংশ নেয়াকে নাগরিক কর্তব্য ঘােষণা করা হয়। 
জানা যায়, এক সময় ইছামতির নদীর বুকে লঞ্চ-স্টীমার চলাচল করতো। কিন্তু কালের আবর্তে এখন মৃত প্রায় নদীটি। নাব্যতা সংকট ও দখলের কবলে হারিয়ে যেতে বসেছে খরস্রােতা ইছামতি। এখন ইছামতির বুকে লঞ্চ আর স্টীমারের হুইসেল বেঁজে উঠে না। হাজারাে মানুষ নৌযান চালিয়ে এখন আর জীবিকা নির্বাহ করে না। তাই মৃত ইছামতির বুক জুড়ে এখন জটলা পেকেছে শুধুই কচুরীপানা। এছাড়া কিছু জেলে কচুরীপানার জটলা পাকিয়ে মাছের কৃত্তিম অভয়ারণ্য তৈরি করে মাছ শিকার করে, ফলে কচুরীপানা স্রােতের সাথে অন্য স্থানে যেতে পারেনা। 

যৌবনদীপ্ত ইছামতী নদী যেন কৃষি জমির ন্যায় কচুরিপানায় জমিতে পরিণত হয়ে গেছে।

যৌবনদীপ্ত ইছামতির তীরে সিরাজদিখান বাজার গড়ে উঠেছিল। তৎকালীন সময়ে বাজারে হাজারাে মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠতো। ইছামতি নদী ঘিরে উপজেলার ইমামগঞ্জ, গ্রীগঞ্জ,ইছাপুরা, নোয়াপাড়া,  শিংপাড়া,বৌবাজার, নিমতলা, শেখেরনগর,মরিচা, সৈয়দপুর, রামকঞ্চদী, রাজানগর, বাহর ঘাটা, টকরহাট এলাকায় বাজার সরগরম করতো। কি এখন ওই সব বাজারের সামনে ইছামতি মরা খালে পরিণত হয়ে উঠেছে। এসব বাজারে যাতায়াত করতে এখন আর ডিঙ্গি নৌকা চলাচল করে না। চলে না ট্রলার কিংবা লঞ্চ। এতে অসংখ্য পরিবার বেকার হয়ে পড়ে। এখন ওই সব পরিবার অন্য পেশা বেছে নিয়েছে।
সিরাজদিখান বাজারের বাঁশ ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, আমি প্রায় ৪৫ বছর ধরে বাঁশ ব্যবসার সাথে জড়িত। এক সময় ইছামতি নদী ছিল খরস্রােতা। নদীর এক তীর থেকে অন্য তীরের দৈর্ঘ্য ছিল অনেক। এখন ইছামতি নদী ছােট হয়ে গেছে। নদীর বুক জুড়ে কচুরীপানায় ভরে যাওয়ায় এখন বাঁশ আনা নেওয়া করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে। এখন নদীতে কােন ট্রলার বা নৌকা চলাচল করে না। তাই বাজারে বাঁশ সরবরাহ করতে এখন সড়ক পথ ব্যবহার করা হয় থাকে। এতে খরচও বেশী লাগে। 
বাজারের রাইছ মিলর ব্যবসায়ী নজরুল শেখ বলেন, ইছামতি নদীকে ঘিরে রাইচ মিল ছিল জমজমাট। এখন কচুরীপানার কারনে নৌকা বা ট্রলার চলাচল করতে পারে না। দুর-দুরান্ত থেকে বাজারের রাইছ মিলেও আসে না।


ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।   

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com