নাজমুল ইসলাম, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা শ্রমিকদলের সদ্য প্রয়াত সভাপতি কামরুল হাসান কাজলের মেয়ের পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও টানা তিন বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ।
উল্লেখ্য, হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর এলাকার বাসিন্দা কামরুল হাসান কাজল গত শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। তার গ্রামের বাড়ি বানিয়াচং উপজেলা সদরের মিয়াখানী গ্রামে। তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে হবিগঞ্জ শহরে বসবাস করতেন এবং চার কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। বড় মেয়ে মোহনা ইসলাম প্রিয়া হবিগঞ্জ সেন্ট্রাল ক্রিয়েটিভ কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ২য় মেয়ে তানিশা ইসলাম দিশা শহরের জে কে এন্ড এইচ কে হাই স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। তৃতীয় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মায়িশা টাউন মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী। ৪র্থ মেয়ে তাসমিয়া তাজ সাদিয়ার বয়স দেড় বছর।সুত্র মতে জানা যায়, কামরুল হাসান কাজলের স্বপ্ন ছিল তার সন্তানদের পড়ালেখা করিয়ে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলা। কিন্তু নিয়তির কাছে হেড়ে গেলেন তিনি। অল্প বয়সেই ইহকাল ত্যাগ করে চলে যেতে হয়েছে। তাই কামরুল হাসান কাজলের পরিবারে নেমে এসেছে হতাশার ছায়া। সব কিছু জেনে কামরুল হাসান কাজলের পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন আলহাজ্ব জি কে গউছ। তিনি মরহুমের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে শান্তনা দেন এবং বড় মেয়ে মোহনা ইসলাম প্রিয়ার পড়ালেখার সকল দায়িত্ব গ্রহন করেন। এছাড়াও সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দেন।জি কে গউছ বলেন- শ্রমিকদল নেতা কামরুল হাসান কাজল ছিলেন রাজপথের সাহসী সন্তান। দেশের গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে কাজল ছিলেন আমাদের সহযোদ্ধা। কাজলের অবর্তমানে তার পরিবারের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply