সংবাদ শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরকে সম্প্রসারিত করে পরিকল্পিত নগরায়ন করা হবে: গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরী এমপি কমলগঞ্জে শমশেরনগরে রেলপথ ঘেষে জমে উঠে অবৈধ পশুর হাট; দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলালিংক ও হুয়াওয়ের চুক্তি ডেঙ্গু ঠেকাতে সোমবার থেকে মাঠে নামছে ডিএনসিসি অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১৩ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন শেষ হলো সাহিত্য একাডেমির ৭ দিনব্যাপী “বৈশাখী উৎসব।। সচিব খলিল আহমদকে বৈশাখী উৎসব সম্মাননা প্রদান সরাইলে উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির প্রার্থী তপু লস্কর নবীনগরে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষে একজন নিহত ও আহত-৩।। আটক-৪ কমলগঞ্জে নিরাপদ সড়ক চাই’র আইডি কার্ড বিতরণ ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের ৫ম দিনে নির্বাচিত গ্রন্থের প্রকাশনা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী টিসিবি পণ্য ও ভারতীয় সিগারেট সহ বিভিন্ন পণ্য মজুতকারী কে সেই নোমান

নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী টিসিবি পণ্য ও ভারতীয় সিগারেট সহ বিভিন্ন পণ্য মজুতকারী কে সেই নোমান

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

নবীগঞ্জে অসৎ উপায়ে টিসিবি পণ্য মজুতকারী কে সেই নোমান। সে কয়েক কোটি টাকার মালিক হওয়ার পেছনে এর উৎস কি এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সচেতন মহলে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে আসল তথ্য। নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের লালাপুর গ্রামের হাজী হেলিম উদ্দিনের পুত্র নোমান হোসেন(৩৫)। ইনাতগঞ্জ বাজারের সব চেয়ে বড় ব্যবসায়ী। বলতে গেলে ইনাতগঞ্জ বাজারের প্রায় সব মুদি দোকান ব্যবসায়ী নোমান হোসেনের মালিকানাধীন হাজী হেলিম ষ্টোরের থেকে মালামাল ক্রয় করেন । সবাই তার ব্যবসা প্রতিষ্টান থেকে পাইকারী নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করেন। আবার অনেক ব্যবসায়ীরাই তার উপর অভিযোগ তুলেন,নোমান পাইকারী দরে তাদের কাছে যে পণ্যগুলো বিক্রি করেন। সে পণ্য গুলো খুচরা বিক্রিও করেন। অনুসন্ধানে জানা যায়,নোমান হোসেনের পিতা হাজী হেলিম উদ্দিন ছিলেন ১৯৬১/৬৫ সালে একজন সবজি ব্যবসায়ী। ফুটপাতে সবজি বিক্রি করতেন। এক পর্যায়ে সবজি ব্যবসা বাদ দিয়ে তিনি ১৯৭৬ সালে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের রমজান পুর গ্রামের আব্দুল আজিজ এর মালিকানাধীন ঢাকায় আজিজ ট্রেভেলস এর মাধ্যমে শুরু করেন আদম ব্যবসা। অল্প দিনের মধ্যেই তিনি  টাকার পাহাড় গড়েন ।এরপরে তিনি  ইনাতগঞ্জ বাজারে ব্যবসা শুরু করেন। অল্প দিনের মধ্যই তিনি বাজারে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্টান গড়ে তোলেন। এসব ব্যবসায় মালামাল মজুত করাসহ কালোবাজারে পণ্য বিক্রি করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। 
পিতার হাত ধরেই নোমান হোসেন বিগত ১০/১২বছর ধরে ব্যবসায় হাল ধরেন। ব্যবসার আড়ালে চলে তার কালো বাজারে সিন্ডিকেট  ব্যবসার ধান্ধা। ইনাতগঞ্জ বাজারের সে অনেক কোম্পানীর ডিষ্টবিউটারসহ একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্টান রয়েছে । তদন্ত করলে সরকারের রাজস্ব ফাঁকিরই লক্ষ লক্ষ টাকা বকেয়া আসবে। তাছাড়া অবৈধ কালো বাজারী ব্যবসায়ী নোমান ইনাতগঞ্জ বাজারে এক চেটিয়াভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দাম বাড়িয়ে সিন্ডিকেট করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ইচ্ছা করেই কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে পেয়াজ ডাল তেল ও  লবণের দাম বাড়িয়ে  দেন বাজারে সৃষ্টি হয় কৃত্রিম  সংকট। চতুর নোমানের বিরুদ্ধে  বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী মজুত করে রাখার ও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।  তার দাপটের কারণে নিরবতা পালন করছে অনেক ব্যবসায়ীরা। তার রয়েছে নবীগঞ্জ ও জগন্নাথপুরে বিশাল কালোবাজারী  সিন্ডিকেট। যে কোন দূর্যোগের সময়ে দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে দেন পণ্য গুলোর। সরকারি অনুমোদনহীন ভারতীয় সিগারেট, স্পে, ক্রীম,লোশন  সহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা।  তার বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ উপজেলা ও জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসন একযোগে অভিযান চালিয়ে গোডাউন থেকে উদ্ধার করা হয় সরকারি  টিসিবির তেল,  চিনি, ভারতীয় সিগারেট সহ অনেক পণ্য। স্থানীয় এলাকাবাসীরা দাবী করছেন , আলোচিত কালোবাজারি  নোমানের বিরুদ্ধে জেলা  দুদক ও ভ্যাট ট্যাক্স আবগারি সার্কেল অভিযান পরিচালনা করলে তার কোটি কোটি টাকা আয়ের সঠিক উৎস খুঁজে পাওয়া যাবে মনে করছেন স্থানীয়রা।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।    

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com