ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল গত ২৬ আগস্ট ২০২০ ইং তারিখ রোজ বুধবার “তেপান্তর ডটকম” এ “চুরি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শেখ হাসিনা সড়ক তৈরীর মালামাল” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটিতে আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে কল্পনাপ্রসূত ভুল তথ্য সরবরাহ করে সমাজের দর্পণখ্যাত প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের মিসগাইড করে সংবাদটি প্রকাশ করেছেন।প্রকৃত পক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের সাথে বিজয়নগর উপজেলার সরাসরি সংযোগ সড়ক শেখ হাসিনা (সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সড়কটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর একান্ত আন্তরিক প্রচেষ্টায় নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। নির্মাণাধীন সড়কটির মনিপুর ধুলিবাড়ি সংলগ্ন এলাকার সড়কের দক্ষিণপাশের কিছু অংশ অবৈধভাবে দখল করে গরুর খামার নির্মাণ করেন একই উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামের ইউনুস মিয়ার ছেলে ক্যাসিনো সম্রাট ও আদমবেপারী লিলু মিয়া ও জাকির হোসেন গংরা। এতে পত্তন ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ সেলিম মেম্বার সড়ক দখল করে গরুর খামার নির্মাণে বাঁধা দেন। পরে বিষয়টি অবগত হয়ে সড়ক দখলের সত্যতা যাচাই করতে পত্তন ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা গত ৮ আগস্ট ২০২০ ইং রোজ শনিবার সকালে সরজমিন তদন্ত এসে লিলু ও জাকির হোসেন গংদের অবৈধভাবে সড়ক দখলের সত্যতা পান। পরে উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা লিলু ও জাকির গংদের সড়কের অবৈধ দখল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং অন্যথায় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার হবে বলেও সতর্ক করে দেন।এদিকে সরজমিন তদন্ত শেষে উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পর একই দিন বিকেল সাড়ে ৩ টায় মনিপুর বন্দরবাজারে লিলু ও জাকির গংরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ৫০/৬০ জনের একটি বাহিনী সেলিম মেম্বারের উপর হামলা চালায়। এসময় সেলিম মেম্বারের গোষ্ঠীর লোকজন খবর পেয়ে লিলু ও জাকির গংদের হাত থেকে সেলিম মেম্বারকে বাঁচাতে গিয়ে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়।
এদিকে, অবৈধভাবে শেখ হাসিনা সড়ক দখল করে লিলু ও জাকির গংদের নির্মাণকৃত গরুর খামারটি গত ১০ আগস্ট ২০২০ ইং তারিখে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে উচ্ছেদ করেন। এসময় তিনি ভবিষ্যতে কেউ যেন সড়ক দখল করে স্থাপনা না করেন সে বিষয়েও হুশিয়ারী করে দেন।
তাদের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে সেলিম মেম্বারসহ উপজেলা প্রশাসনের সাথে সহমত পোষণ করেন পত্তন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, পত্তন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক হৃদয় আহমেদ জালাল, বিশিষ্ট শালিশকারক আমিন উদ্দিন ছোটন মিয়া। যাদেরকে লিলু ও জাকির গংরা মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের অবৈধ সড়ক দখলের পক্ষে থাকার জন্য অনুরোধ করে ব্যর্থ হয়ে তাদেরকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করতে একটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক কল্পনাপ্রসূত তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করেন। যা একেবারেই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং এলাকাবাসী দেখেছেন সম্প্রতি রামপুর টু মনিপুর সড়কের উদালিয়া ব্রীজ থেকে মনিপুর উত্তরাংশ পর্যন্ত বন্যার পানিতে ভেঙ্গে যাওয়া রোধ করতে হৃদয় আহমেদ জালাল নিজের পকেটের টাকা খরচ করে দুপাশে বাঁশ ও ইট দিয়ে প্রটেকশন দেন। অপরদিকে সেলিম মেম্বার শেখ হাসিনা সড়কের দুপাশে সাইড ওয়াল ও ব্লক বসানোর কাজ পান ঠিকাদারি প্রতিষ্টান ডলি কন্সট্রাকশনের কাছ থেকে। যার প্রমাণ হিসেবে সেলিম মেম্বার এখনও ডলি কন্সট্রাকশনের কাছে কাজের ১২ লাখ টাকার বিল পাওনা রয়েছে।
অতএব অদূর ভবিষ্যতে এধরণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে সমাজের দর্পণ প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের কেউ বিতর্কিত করার পায়তারা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

প্রতিবাদকারী

মোঃ সাইফুল ইসলাম

সভাপতি: পত্তন ইউনিয়ন ছাত্রলীগ।

বিজয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।