স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাথী আক্তার-(২৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এসে সাথীর লাশ দেখতে পায় তার বাবার লোকজন।
দুই সন্তানের জননী সাথী আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের খেওয়াই গ্রামের প্রবাসী শাহীন মিয়ার স্ত্রী ও কসবা পৌর এলাকার আড়াইবাড়ি গ্রামের আবুল খায়েরের মেয়ে।
সাথী আক্তারের ভগ্নিপতি মোহাম্মদ লিটন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ১৩ বছর আগে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের খেওয়াই গ্রামের রমজান মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়ার সাথে সাথী আক্তারের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে ইসমাইল মিয়া-(৬) ও ইসরাত আক্তার-(৩) নামে তাদের দুই সন্তান রয়েছে।
সাথী আক্তারের ভগ্নিপতি মোহাম্মদ লিটন মিয়া আরো বলেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবি করে সাথীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতো
শাহীন ও তার পরিবারের লোকজন। ২০১৭ সালে শাহীন মিয়া বিদেশে চলে যায়। শাহীন বিদেশে চলে যাওয়ার পর সাথীর উপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। দেবর সাহেদ-(২৮) কে বিদেশে পাঠাতে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে সাথীকে চাপ দিত তার শ্বশুর রমজান মিয়া ও শ্বাশুড়ি। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সন্ধ্যায় সাথীকে বেদম মারধোর করা হয়।রাত ১১টায় আমাদেরকে খবর দেয়া হয় সাথী অসুস্থ্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় আমাদেরকে জানানো হয় সাথী মারা গেছে। পরে হাসপাতালে এসে দেখি সাথীর লাশ হাসপাতালে রেখে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। তিনি বলেন, সাথীর হাতে ও মাথায় জখমের চিহ্ন রয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। সাথীর স্বামীর বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply