স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে দেড় বছরের শিশু হাফসাসহ তার মা-বাবাকে মারধোর করেছে চাচারা। গত বুধবার বিকেলে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের কৌড়াতলী ঋষিপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহত হাফসাসহ তার মা-বাবাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কুমারশীল মোড়ের দি ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটির মাথায় দুইটি সেলাই করা হয়েছে।
শিশুর পিতা ডালিম মিয়া অভিযোগ করে বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে তার ভাইয়েরা তাদেরকে মারধোর করেছে। ঘটনার পর তিনি শিশুসহ থানায় গেলেও পুলিশ তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে ল্যাব এইড হাসপাতালে শিশুর পিতা আহত ডালিম মিয়া জানান, টাকা-পয়সার লেনদেনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার ভাইদের সাথে তার পারিবারিক ঝামেলা রয়েছে। তিনি বলেন, গত তিন বছর আগে তিনি বিদেশ যাওয়ার সময় দুই ভাইয়ের কাছ থেকে তিনি ৬০ হাজার টাকা হাওলাত নিয়ে ছিলেন। বিদেশ থেকে এসে তিনি ভাইদেরকে ৩৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকী টাকার জন্য বুধবার বিকেলে তার ভাই সৈয়দ মিয়া, টুটুল মিয়া ও জুয়েল মিয়া তার পরিবারের উপর হামলা করে। এ সময় তার দেড় বছরের শিশু হাফসাও আহত হয়।
পরে তিনি শিশুটিকে নিয়ে থানায় গেলে পুলিশ তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়। এ সময় তার বড় ভাই আবুলসহ কয়েকজন থানায় উপস্থিত ছিল। তারা পুলিশকে জানায় আমরা নাকি নিজেরাই মাথা ফাটিয়ে থানায় এসেছি।
হাসপাতালে শিশুর মা ফুলি আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘তারা আমার দুধের বাচ্চাটাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো। তাদের ছুরির আঘাতে তার মাথায় দুইটি সেলাই লাগে। আর লাঠির আঘাতে শিশুর চোখ ফুলে যায়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহমেদ নিজামী ডালিমকে থানা থেকে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ডালিমের মা তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়ে গেছে। ডালিম নাকি মাদকাসক্ত। তার মা বলেছে ডালিম নাকি নিজের মাথা নিজেই ফাটিয়েছে। তিনি বলেন, শিশুটিকে কেউ যদি মারধোর করে থাকে তাহলে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply