শামিম ইশতিয়াক, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি  (নেপ) অডিটরিয়ামে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ জোন (ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ জেলার সড়ক বিভাগ) বিআরটিএ এবং বিআরটিসি ময়মনসিংহ ডিপো’র কার্যক্রম সম্পর্কে আজ এক গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. বেলায়েত হোসেন ও অতিরিক্ত সচিব এহসান আলী, সওজ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, সওজ ময়মনসিংহ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আতাউর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী (ময়মনসিংহ ) মো. মাসুদ খান, নির্বাহী প্রকৌশলী (নেত্রকোণা ) মো. দিদারুল আলম তরফদার, নির্বাহী প্রকৌশলী (টাঙ্গাইল) মো. আমিনুল হাসান, নির্বাহী প্রকৌশলী (শেরপুর) মো. আহসান উদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী প্রকৌশলী ( জামালপুর) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী (কিশোরগঞ্জ) মো. রাশেদ আলম, ময়মনসিংহ বিআরটিএ সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল খালেক, জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্তা।

এই সময় গণশুনানিকালে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ময়মনসিংহ শহরের কেওয়াটখালীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর আরেকটি সেতুর নির্মাণ কাজ ২০২০ সালের মার্চের মধ্যে দৃশ্যমান হবে এবং স্বল্পগতির যান চলাচলের জন্য ঢাকা-ময়মনসিংহ চারলেন মহাসড়কের দুপাশে আলাদা লেন নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। সেই সাথে শম্ভুগঞ্জ ব্রহ্মপুত্র নদের উপর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর অবৈধ টোল আদায় বন্ধ করতে আবারও অর্থ মন্ত্রণালয়ে পত্র দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার সুপ্রশস্ত সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে ৩ লাখ বাস-ট্রাক ড্রাইভারকে উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের জাতীয় মহাসড়কগুলোকে চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেরপুর জেলার জন্য সুখবর হচ্ছে- নকলার কানাসাখোলা, চন্দ্রকোণা, নারায়নখোলা, রামভদ্রপুর, পরাণগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর বাইপাস) পর্যন্ত একটি সড়ক নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এটি নির্মিত হলে শেরপুরের সাথে ঢাকার দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার কমে যাবে। এতে কোনো যানজট ছাড়াই শেরপুরের মানুষ দ্রুত রাজধানীসহ অন্যান্য স্থানে যাতায়াত করতে পারবেন।’

সচিব বলেন, ‘বর্তমান সরকার সব ধরনের দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে।’

এই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ জেলার বাস মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ।

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।