সংবাদ শিরোনাম
রেল যাতায়াত, যানজট ও লোডশেডিং সমস্যা সমাধানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কক্সবাজারে লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ৬ জন আটক গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের খসড়া তালিকায় ৭০৮ জন সিডস ফর দ্য ফিউচারের আঞ্চলিক পর্বে অংশ নিতে চীনে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা সরাইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।। আহত-৫০ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু রাঙামাটিতে পর্যটন ভ্রমণে তিন দিনের নিষেধাজ্ঞা ইবির সাবেক শিক্ষক ড. নকীব নসরুল্লাহ হলেন ইবির নতুন উপাচার্য নবীনগরে গলায় ফাঁস দিয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুয়া সাংবাদিক ও অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে কমিটি গঠন।। আহ্বায়ক আরজু ও সদস্য সচিব আল আমিন শাহীন
সত্য গোপন করে মনগড়া চিকিৎসা সনদ দেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের

সত্য গোপন করে মনগড়া চিকিৎসা সনদ দেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি 
সত্য গোপন করে মনগড়া চিকিৎসা সনদ দেওয়ার অভিযোগে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ৬জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সদর আদালতে মামলা হয়েছে।

সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামের একটি মারামারির ঘটনার মামলায় জখমীদের প্রকৃত চিত্র গোপন করে মামলার আসামীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মনগড়া চিকিৎসা সনদ প্রদানের অভিযোগে সংক্ষুব্ধ সাজন রবিদাস গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন (সিআর-১০৫০/২০)।
বিজ্ঞ আদালত আয়েশা বেগম গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত এই মামলায় কোন আদেশ দেননি।
মামলার আসামীরা হলেন-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ এ.বি.এম মুছা চৌধুরী, ডাঃ মির্জা মোঃ সায়েফ, ডাঃ মোঃ সোলাইমান মিয়া, ডাঃ মোঃ ফাইজুর রহমান, ডাঃ খান রিয়াজ মাহমুদ ও ডাঃ রানা নূরুস শামস।
মামলায় বাদী সাজন রবিদাস অভিযোগ করেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে প্রতিপক্ষ দুস্কৃতিকারীদের দ্বারা তিনিসহ ৮জন নারী-পুরুষ গুরুতর জখম হন। এ ঘটনায় তার ছেলে কলেজ ছাত্র মিঠুন রবিদাস বাদী হয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ১৬ জনকে আসামি করে সরাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ( জি, আর- ২৫৮/২০)।
এই মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক এ.বি.এম মুছা চৌধুরী, ডাঃ মির্জা মোঃ সায়েফ  ও ডাঃ মোঃ সোলাইমান মিয়া পরস্পর যোগসাজশে এবং আসামিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জখমীদের প্রকৃত চিত্র গোপন করে গত ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে সাদামাটাভাবে চিকিৎসা সনদ (এম,সি) প্রদান করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এসব চিকিৎসা সনদের বিরুদ্ধে মামলার বাদী মিঠুন রবিদাস আদালতে নারাজী আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত গত ৪ নভেম্বর এক আদেশে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তিন দিনের মধ্যে পুনরায় চিকিৎসা সনদ প্রদানের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসককে নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ফাইজুর রহমান, খান রিয়াজ মাহমুদ ও রানা নূর“স সামস দ্বিতীয় দফা চিকিৎসা সনদও পূর্বের সনদের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে চিকিৎসা সনদ  (এম.সি) প্রদান করলে সংক্ষুব্ধ বাদী সাজন দাস গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ রানা নূরুস শামস বলেন, শুনেছি আদালতে মামলার আবেদন করেছে। আমার যা বলার আদালতেই বলবো।

উল্লেখ্য, ওই ঘটনায় সাজন রবিদাস গুরুতর আহত হলে তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। 
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর। 

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com