সোমবার (১১ এপ্রিল) ভোরে জেলার বিজয়নগর উপজেলার চরইসলামপুর ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাত্র ৫ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে বাড়ি-ঘরসহ ফসলি জমির এ ক্ষতি হয়েছে।
কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয় উপজেলার চরইসলামপুর ইউনিয়নের নাজিরাবাড়ী, মোহাম্মদপুরসহ কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘর ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়। তবে এতে কারও হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এছকড়াও উপজেলার চান্দুরা ও চম্পকনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামেও ঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় ঘর-বাড়িসহ কৃষকের পাকা ও আধা-পাকা ধানি জমি। এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩টি টিম সরজমিনে গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে চম্পকনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হামিদুল হক হামদু জানান, চম্পকনগর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ঘর-বাড়ি ও চলতি মৌসুমের আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফসলি জমি।
চরইসলামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সামিউর এ প্রতিবেদককে জানান, মাত্র ৫ মিনিটের কালবৈশাখী এ ঝড়ে এ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক ঘর-বাড়ি ও পাকা-আধা-পাকা ধানি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সারা বছরের কৃষকের পরিশ্রম ৫ মিনিটের ঝড়ে উলোটপালোট হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, চরইসলামপুর ইউনিয়নের নাজিরা বাড়ি, মোহাম্মদপুর, চরমাধবপুর, চম্পকনগর ইউনিয়নের পেটুয়াজুরী, চান্দুরা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের সময় শিলাবৃষ্টির কারণে বোরো ধান ও মৌসুমি ফল আম, লিচুর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী এ প্রতিবেদককে জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার বেশকিছু এলাকায় ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি অবগত হয়েছি। উপজেলা পরিষদের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply