স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে শ্বশুড়কে কুপিয়ে হত্যা করলো জামাই। নিহতের নাম হাফিজুর রহমান-(৫৫)।
শনিবার (০৪ নভেম্বর) রাত ৩ টায় উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়,নিহত হাফিজুর রহমানের মেয়ে নাহিদা আক্তারকে গত আড়াই বছর আগে বিয়ে দেন একই ইউনিয়নের পেটুয়াজুড়ি গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে শামীম-২৬) এর সাথে। বিয়ের পর থেকেই শামীম স্ত্রী নাহিদাকে বিভিন্ন সময় যৌতুকসহ বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতেন। যা নিয়ে দু’তিনবার রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে আসলেও পরিবারের লোকজন বুঝিয়ে শ্বশুর বাড়িতে পাঠান নাহিদাকে। গতকাল শুক্রবার ফের শামীম নাহিদাকে মারধর করলে স্বামীর সাথে রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শামীম শনিবার রাত ৩ টায় শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে সকল ঘরের দরজা বাহির দিয়ে আটকিয়ে শ্বশুরের ঘরের দরজা ভেঙ্গে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। কুপানোর সময় শ্বশুর ও বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে শামীম পালিয়ে যান।
নিহত হাফিজুর রহমানের মেয়ে ও ঘাতক শামীমের স্ত্রী নাহিদা আক্তার এ প্রতিবেদককে জানান,বিয়ের পর থেকেই শামীম আমাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছে। গতকালও আমাকে মারধর করেছে। পরে আমি রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে আসি। আসার পর আমার শ্বশুর, শাশুড়ি ও চাচা শ্বশুররা এসে আমাকে উল্টো শাসিয়ে হুমকি দিয়ে যায়। পরে আমার স্বামী শামীমও আমাকে মোবাইলে কল দিয়ে আমার বাবা-মা ,ভাই-বোন কে হত্যা করার হুমকি দেয়। পরে শনিবার রাত ৩ টায় আমাদের বাড়িতে এসে সকল ঘরের দরজা বাহির দিয়ে আটকিয়ে আমার বাবার ঘরের দরজা ভেঙ্গে আমার বাবাকে কুপাতে থাকে। এসময় আমার বাবা চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হতে গিয়ে দেখি দরজা বাহির দিয়ে আটকানো। পরে আমার বাবা ও আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে শামীম পালিয়ে যায়। পরে গিয়ে দেখি আমার বাবার নিথর দেহ মাটিতে পড়ে আছে। আমি এ ঘটনায় খুনি শামীম এর ফাঁসি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘাতক শামীমকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযান শুরু করেছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply