স্টাফ রিপোর্টার //সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দীপান্বিতা দেবনাথ ওরফে মম্পি (২৬) নামে দুই মাসের অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রীর মরদেহহাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
বুধবার (০৬ নভেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে মরদেহটি ফেলে রেখে চলে যান তারা। পরে সন্ধ্যা ৭টায় পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত গৃহবধু দীপান্বিতা দেবনাথ ওরফে মম্পি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক পরিতোষ দেবনাথের একমাত্র মেয়ে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ছুটে আসেন নিহত গৃহবধূর বাবা পরিতোষ। হাসপাতালের মর্গের সামনে তিনি সাংবাদিকদের জানান, চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি একই এলাকার অপূর্ব রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় মম্পির। চাকুরির সুবাদে স্বামী অপূর্ব ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পূর্ব পাইকপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে বসবাস করতেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে তার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল। এর জের ধরেই স্বামী ও শ্বাশুড়ি মিলে তাকে হত্যা করে হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয় নিহত গৃহবধূর এক আত্মীয় মালা দেবনাথ জানান, মম্পি অসুস্থ বলে তার স্বামী অপূর্ব বিকেলে তাকে হাসপাতালের ১০৩ নম্বর ইসিজি কক্ষে নিয়ে আসে। এসময় অপূর্ব ও তার স্বজনেরা হাসপাতাল স্টাফদের জানায়, মম্পি ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক শাখাওয়াত হোসেন তাকে মৃত ঘোষণা করার পর অপূর্বসহ তার স্বজনেরা সটকে পড়েন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে তারা থানায় খবর দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সেলিম উদ্দিন জানান, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা সম্ভব নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply